চেন্নাই: বিধানসভার সদস্যরা নন, খোদ রাজ্যপালই ওয়াকআউট করলেন বিধানসভা থেকে। এমনই বেনজির ঘটনার সাক্ষী থাকল তামিলনাড়ু বিধানসভা (Tamil Nadu Assembly)। রাজ্যপালকে কেবলমাত্র রাজ্য সরকারের তৈরি করে দেওয়া লিখিত ভাষণ পড়তে বলায় বিধানসভা কক্ষ ত্যাগ করে চলে যান রাজ্যপাল আর এন রবি (Governor RN Ravi)।
সোমবার চিরাচরিত ভাষণপাঠের সময় কিছু অংশ পড়তে রাজি না হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন (Chief Minister MK Stalin) স্পিকারকে বলেন, রাজ্য সরকারের লিখিত ভাষণই নথিভুক্ত করতে। যা শুনে রাজ্যপাল সভা ছেড়ে বেরিয়ে যান। কারণ রাজ্য সরকারের লিখিত ভাষণের কিছু বাদ দিয়ে রাজ্যপাল নিজের মতো করে সামান্য অংশ জুড়ে পাঠ করেন। আর তা নিয়েই রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীর বিবাদ বাধে। পরে রাজ্যপালের সরকারি ভাষণ নথিভুক্ত করার জন্য একটি প্রস্তাব পাশও হয়।
রাজ্য সরকারের লিখিত ভাষণ পাঠের সময় আর এন রবি ধর্মনিরপেক্ষতা, পেরিয়ার, বিআর আম্বেদকর, কে কামরাজ, সি এন আন্নাদুরাই এবং করুণানিধির নাম এড়িয়ে যান। তারপরই মুখ্যমন্ত্রী প্রকৃত ভাষণ নথিভুক্ত করার জন্য একটি প্রস্তাব আনেন এবং তা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন তাঁর প্রস্তাবে রাজ্যপালের আচরণকে সংবিধান বিরোধী কাজ বলে উল্লেখ করেন। ডিএমকের শরিক দল কংগ্রেস, ভিসিকে, সিপিআই এবং সিপিএম আগেই এদিন রাজ্যপালের ভাষণ বয়কট করেছিল। তাদের অভিযোগ, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিল রাজ্যপাল আটকে রেখেছেন। তার মধ্যে রয়েছে, অনলাইন জুয়া বন্ধ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের ক্ষমতা খর্ব করা। মোট ২১ বিল বিধানসভায় পাশ হলেও রাজ্যপাল রবি একটিতেও স্বাক্ষর করেননি বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: Rahul Gandhi: প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষমতা আছে রাহুলের, বলছেন তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তামিলনাড়ু ছাড়ো স্লোগান ওঠে। ডিএমকের এক বিধায়ক চিৎকার করে বলেন, এখানে বিজেপি, আরএসএসের আদর্শ খাটালে মানব না। ডিএমকের সঙ্গে রাজ্যপালের বেশ কিছুদিন ধরেই সংঘাত চলছে। শুধু তামিলনাড়ুতেই নয়, পশ্চিমবঙ্গেও এর আগে প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং বর্তমানে কেরলের রাজ্যপাল আরিফ খানের সঙ্গে সিপিএম সরকারেরও অসহযোগিতার অভিযোগে ব্যাপক অবনিবনা হয়।