Monday, June 16, 2025
HomeদেশBalakot Airstrikes: দুঃসাহসিক বিমান অভিযান, 'বালাকোট এয়ারস্ট্রাইক'-এর সফলতার চার বছর...

Balakot Airstrikes: দুঃসাহসিক বিমান অভিযান, ‘বালাকোট এয়ারস্ট্রাইক’-এর সফলতার চার বছর…

Follow Us :

নয়াদিল্লি: আজ থেকে চার বছর আগের কথা। দিনটা ছিল ২৬ ফেব্রুয়ারি। পুলওয়ামায় (Pulwama) সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রতিশোধ (Retaliation) নিতে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force) সফলভাবে বিমান হামলা (Airstrike) চালিয়েছিল। সেই বিমান হামলা বালাকোট এয়ারস্ট্রাইক (Balakot Airstrikes) হিসেবে পরিচিত। বায়ুসেনা এর নাম দিয়েছিল – ‘অপারেশন বন্দর [Operation Bandar (monkey)]’। এবছর তার চার বছর পূর্তি। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি গোটা বিশ্বের সঙ্গে ভারত যখন ভ্যালেন্টাইনস ডে (Velentine’s Day) পালন করছে, সেই সময় জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় (Pulwama District of Jammu & kashmir) সিআরপিএফ জওয়ানদের (CRPF Personnel) কনভয়ে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। ওই হামলার পিছনে দায়ী ছিল জঈশ-এ-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammed, JeM)। ৪০ জন আরপিএফ জওয়ান মারা যান। তার ১২ দিন পর প্রতিশোধের বিমান হামলা। আন্তর্জাতিক সীমান্ত (International Border) পেরিয়ে একেবারে শত্রুদের ঘাঁটিতে ঢুকে পড়ে। ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের (India-Pakistan War) পর এটাই ছিল আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনার কোনও বিমান হামলার পদক্ষেপ। বালাকোটে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত পার করে ভারতীয় বায়ুসেনার মিরাজ ২০০০ ফাইটার জেটের বিমানবহর (Fleet of IAF Mirage 2000 Fighter Jets) জঈশ জঙ্গি সংগঠনের সবচেয়ে বড় প্রশিক্ষণ শিবির (Training Camp) ধবংস করে বিমান থেকে বোমা হামলা চালিয়ে। 

আরও পড়ুন: Manish Sisodia-CBI: মোদি ভয় পেয়েছেন, সিবিআই অফিসে যাওয়ার আগে আর কী বললেন সিসোদিয়া? 

‘অপারেশন বন্দর’ কেন নাম? 

এই বিমান হামলার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল, আন্তর্জাতিক সীমা পার করে ভারতীয় বায়ুসেনা বিমান হামলা চালাবে এবং ভারতের মাটিতে ফেরত আসবে। তাই এর গোপন নাম অর্থাৎ কোডনেম (Codename) দেওয়া হয়েছিল অপারেশন বন্দর। এই নাম দেওয়ার পিছনে কারণ ছিল, হামলার পরিকল্পনা ও ছকের গোপনীয়তা বজায় রাখা, যাতে কোনও খবর ফাঁস (Leak) না হয়ে যায়। তবে আবার অনেকে বলেন, এই কোডনেম বাছার পিছনে অন্য একটি কারণ ছিল, আর সেটা হলো, ভারতের যুদ্ধ সংস্কৃতিতে (India’s war culture) বাঁদরদের একটা বিশেষ স্থান রয়েছে গুরুত্বের দিক থেকে। সেই কারণেই এই নাম দেওয়া হয়েছে। 

আমরা রামায়ণে মহাকাব্যে (Epic Ramayana) দেখেছি, শ্রীরামের (Lord Ram) লেফেন্ট্যান্ট ছিলেন শ্রীহনুমান (Lord Hanuman)। তিনি লঙ্কানগরীতে গোপনে ঢুকে ছিলেন এবং রাক্ষস রাজা রাবণের (Demon King Ravan) সাম্রাজ্যের রাজধানী একাই ধ্বংস করে দিয়ে এসেছিলেন। ভারতীয় বায়ুসেনার বালাকোট এয়ারস্ট্রাইক ঠিক সেই কৌশলেই তৈরি করা হয়েছিল। একই রকমভাবে পাক ভূখণ্ডে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান গোপনে প্রবেশ করে সন্ত্রাসবাদীদের প্রশিক্ষণ শিবির ধ্বংস করে দিয়ে এসেছে। 

কিভাবে চালানো হয়েছিল বালাকোট এয়ারস্ট্রাইক? 

বালাকোট (Balakot) হল পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের (Khyber Pakhtunkhwa) মনশেরা জেলার (Manshera District) একটি শহর। নিয়ন্ত্রণ রেখা (Line of Control – LoC) থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। গোয়েন্দা সংস্থার কাছে এই স্থান সন্ত্রাসের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিত। মার্কিন সেনাবাহিনীও এই স্থানের উপর নজরদারি চালিয়েছিল। আল-কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেন আফগানিস্তানে যেখানে নিহত হয়েছিল মার্কিন সেনার হাতে, সেই অ্যাবোটাবাদ (Abottabad) মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে এই স্থান থেকে। 

প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় বায়ুসেনার ১২টি মিরাজ বিমান একাধিক বিমান ঘাঁটি (Air Field) থেকে রওনা দেয় এবং পাক সীমায় প্রবেশ করে জঈশ-এ-মহম্মদের সন্ত্রাসী শিবিরে হামলা চালায়। পাঁচটি স্পাইস ২০০০ বোমা (Spice 2000 bombs) ফেলেন ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলটরা। ভোররাত ৩টে ৩০ মিনিটে এই হামলা চালানো শুরু, নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে বোমা ফেলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই বায়ুয়েনার জেট বিমান আবার তাদের সংশ্লিষ্ট বিমানঘাঁটিতে ফিরে আসে। এই বিমান হামলায় ভারতীয় বায়ুসেনার ৭ এবং ৯ নম্বর স্কোয়াড্রনের অন্তর্গত বিমান ব্যবহার করা হয়েছিল। নন-আপগ্রেডেড বিমানগুলিকে (Non-Upgraded Planes) ব্যবহার করার কারণ ছিল ১ নম্বর স্কোয়াড্রনের আপগ্রেড করা মিরাজের সেই সময়ে এয়ার-টু-গ্রাউন্ড স্ট্রাইক (Air-to-Ground Strike) ক্ষমতা ছিল না। 

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (the Research & Analysis Wing – RAW)-এর সঠিক গোপন খবর (Intel) এবং ভারতীয় বায়ুসেনার দক্ষতা যেমন এই অপারেশন বন্দরের সফলতার অন্যতম কারণ, তেমনই সমান উল্লেখের দাবি রাখে সু-৩০এমকেআই কমব্যাট বিমানের (Su-30MKI Combat Aircraft) তালমেল। মিরাজ ২০০০ জেট বিমানগুলি যখন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাচ্ছিল, সেই সময় পাকিস্তানি বায়ুসেনার (Fighter Planes of Pakistani Airforce) বিমানগুলিকে পাল্টা হামলা চালানো থেকে বিরত রেখেছিল সু-৩০এমকেআই কমব্যাট বিমানের পাইলটরা। আর এই পুরো অপারেশনে কাজে লাগানো হয়েছিল দেশে তৈরি এয়ারবর্ন আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম (Airborne Early Warning and Control systems – AEW&C) প্লেন ‘নেত্র (Netra)’। সেই সঙ্গে প্রয়োজনের জন্য তৈরি রাখা হয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনার কম্যান্ডো ইউনিট গরুড় (Garud)।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
Weather Update | জোড়া ঘূর্ণাবর্ত, লন্ডভন্ড হবে কোন কোন জেলা? দেখুন বড় আপডেট
00:00
Video thumbnail
Delhi High Court | মহিলাকে দেখতে দারুন, তাকালেই কেস, কী করবেন তাহলে?
00:00
Video thumbnail
BJP | বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি ভা/ঙচুরের প্রতিবাদে শিয়ালদহ থেকে বিজেপির মিছিল
00:00
Video thumbnail
SSC Update | SSC তে নয়া পদে শিলমোহর রাজ্যের
00:00
Video thumbnail
Birbhum | TMC | বীরভূমে কোর কমিটি বৈঠকে বিরাট সিদ্ধান্ত দলের, দেখুন ভিডিও
00:00
Video thumbnail
Iran Situation | জল থই থই গোটা তেহরান শহর, যু/দ্ধের আবহে কী পরিস্থিতি ইরানে?
00:00
Video thumbnail
Netanyahu | নিরাপদ নয় ইজরায়েলের IRON DOME, নিরাপদ নন নেতানিয়াহু, কী হতে চলেছে? দেখুন স্পেশাল রিপোর্ট
00:00
Video thumbnail
Md Selim | সাংবাদিক বৈঠকে মহম্মদ সেলিম
03:24
Video thumbnail
Birbhum | TMC | বীরভূমে কোর কমিটি বৈঠকে বিরাট সিদ্ধান্ত দলের, দেখুন ভিডিও
06:46
Video thumbnail
Private University Bill | রাজ্যে আরও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিল বিধানসভায়
01:29