ধূপগুড়ি: পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন হতেই তৃণমূলের অন্দরে কোন্দল। বিধানসভা উপনির্বাচনে দেখে নেওয়ার হুশিয়ারি বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতার। একই এলাকা থেকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ সভাপতি নির্বাচিত হতেই দলের অন্দরে ক্ষোভ। একদিকে বিজয়ল্লাস চললেও অন্যদিকে ক্ষুদ্ধ নেতার ক্ষোভ প্রকাশ। ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতি গঠন নিয়ে দলের মধ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ।
শুক্রবার ধূপগুড়ির পঞ্চায়েত সমিতি বোর্ড গঠন করা হয়। সভাপতি নির্বাচিত হয় বারোঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অর্চনা সূত্রধর। সহ সভাপতি নির্বাচিত হন একই গ্রাম পঞ্চায়েতের দীপু রায়। একই গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে সভাপতি ও সহ সভাপতি নির্বাচিত হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মাগুরমারি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী তৃণমূল প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির।
আরও পড়ুন: তৃণমূলকে পিছনে ফেলে মুর্শিদাবাদে বোর্ড গঠন বাম-কংগ্রেস জোটের
তাঁর অভিযোগ, এর আগের বারও তাঁর পদ পাওয়ার কথা থাকলেও কোনরকম ভাবে নাম সরিয়ে দেওয়া হয়। এবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। বাকি তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে তিন জন করে পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী জয়ী হলেও সেখান থেকে কাউকে কিছু করা হল না। শুধুমাত্র একটি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে দু’জনকে সভাপতি ও সহ সভাপতি করা হয়। দল যদি আমাদের বিষয়টি নিয়ে না ভাবে, তবে সামনে বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সমস্ত ঘটনা তুলে ধরবো বলে জানান তিনি।
এদিকে পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন হতেই সবুজ আবির খেলায় মেতে উঠে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ সভাপতিকে ফুলের মালা পড়িয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সভাপতি ও সহ সভাপতি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, যে সমস্ত কাজ অর্ধসমাপ্ত হয়ে আছে, সেই সব কাজ আগে শেষ করা হবে।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সম্পাদক রাজেশ কুমার সিং বলেন, সভাপতির ও সহ সভাপতি নির্বাচন করা এটা পুরোটাই দলের বিষয়। দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সকলকে মেনে চলতে হবে। কারও কোনও অভিযোগ থাকলে দল সেটা নিয়ে বসে আলোচনা করবে।