কলকাতা: এবার রাজ্যপালের (WB Governor) বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ আনলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya basu)। শুক্রবার তিনি বলেন, রাজভবন থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলেই আজকের বৈঠকে অনেক রেজিস্ট্রার আসেননি। তাঁদের মধ্য়ে অনেকেই জানিয়েছেন, রাজভবন থেকে ফোন করে বিকাশভবনের বৈঠকে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর বিস্ফোরক অভিযোগ, রাজ্যপাল হাড় হিম করা সন্ত্রাস চালাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবারই রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose) সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছিলেন, তাঁর নিয়োগ করা অনেক উপাচার্যকে উচ্চশিক্ষা দফতরের (Higher Education Department) একাধিক আধিকারিক হুমকি দিয়েছিলেন। সেই চাপেই তাঁরা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। রাজ্যাপালের দাবি, কয়েকজন উপাচার্যই তাঁকে এই হুমকির কথা জানান। রাজ্যপাল ওই অভিযোগ করার পরই উচ্চশিক্ষা দফতর পাঁচ প্রাক্তন উপাচার্যকে চিঠি দিয়ে রাজ্যপালের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চায়। ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্য়ে তাঁদের সেইসব প্রমাণ লিখিতবাবে ইমেলে পাঠাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মার্কিন অভিনেতা ড্যানি মাস্টারসনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ আদালতের
এদিন ব্রাত্য তারই পাল্টা চাললেন। রেজিস্ট্রারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কাল তো রাজ্যপাল হুমকির অভিযোগ করেছিলেন। আসলে কে ভয় দেখান, এখন তা শুনুন। আজ ৩১টি বিশ্ববিদ্য়ালয়ের রেজিস্ট্রারকে আমি রিভিউ বৈঠকে ডেকেছিলাম। তার মধ্যে মাত্র ১২ জন বৈঠকে য়োগ দেন। অনেকেই আমাকে জানিয়েছেন, রাজভবন থেকে ফোন করে তাঁদের বৈঠকে আসতে নিষেধ করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী এদিন রাজ্যপালের তীব্র সমালোচনা করে বলেন,রাজ্যপাল গতকাল সবটা গুলিয়ে দিয়েছেন। চালুনি বলে ছুঁচকে, তোর পিছন কেন ছেদা। রাজ্যাপালকে কিছু বলতে হলে মুখ্যসচিবের মাধ্যমে বলতে হয়, এটাই নিয়ম। কিন্তু তিনি এসব নিয়ম সংবিধান কিছুই মানেন না। গতকাল রাজ্যুপাল অভিযোগ করেছেন, উপাচার্য পদ থেকে তিনি যাঁদের সরিয়েছেন, তাঁরা নাকি ছাত্রী হেনস্থার সঙ্গে যুক্ত, আবার কেউ কেউ নাকি উপাচার্যের বসে দলীয় রাজনীতি করেন। ব্রাত্য বলেন, আমার প্রশ্ন, রাজ্যপাল কি কখনও তাঁদের ডেকে বক্তব্য জানিয়েছেন। এখানে তিনিই বিচারক, আবার তিনিই ফাঁসুড়ে। উনি যাঁদের নিয়োগ করেছেন,তাঁরাই শুধু ধোঁয়া তুলসি পাতা, বাকিরা খারাপ?
ব্রাত্য আরও বলেন,আগে ভেবেছিলাম রাজ্য়পাল আলাউদ্দিন খিলজি, এখন তো দেখছি তিনি মহম্মদ বিন তুঘলক। আসলে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে মানেন না, সংবিধানকে মানেন না, আদালতকেও মানেন না। সবকিছু গুলিয়ে দিয়ে উনি পুতুল খেলা খেলছেন। ব্রাত্যর দাবি, রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্য়ালয়ের উপাচার্যদের কাছে হুমকি দিয়ে অডিট রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিলেন। যাঁরা উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দেশ মেনে সেই অডিট রিপোর্ট পাঠাননি, তাঁদের রাজ্যপাল আর পুনর্নিয়োগ দেননি।