বিধ্বংসী আগুন চাঁদনি মার্কেটে, ঘটনাস্থলে দমকলের ৭টি ইঞ্জিন

কলকাতা: ফের শহরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। রবিবার সন্ধ্যায় চাঁদনি চক (Chandni Chowk) এলাকায় বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের একটি গোডাউনে (Godown) বিধ্বংসী আগুন (Fire) লাগে। সঙ্গে সঙ্গে গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। কিন্তু, হাওয়ার জেরে আগুনের লেলিহান শিখা চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে ঘটনাস্থলে যায় আরও চারটি ইঞ্জিন। দমকলের সাতটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ চালাচ্ছে। একইসঙ্গে কী ভাবে আগুন লাগল, সেটাও খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে দমকল কর্মীরা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যা হতেই চাঁদনি চক এলাকায় বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের একটি গোডাউন থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। ঘটনাটি নজরে পড়তেই স্থানীয় বাসিন্দারা দমকলে খবর দেন। তারপর প্রথমে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। কিন্তু, বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় আগুনের লেলিহান শিখা আরও জ্বলে ওঠে। বেগতিক বুঝে দমকলের আরও চারটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। আগুন নেভাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করে দমকল বাহিনী।

আরও পড়ুন: ফের মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে চোট, এসএসকেএম হাসপাতালে এলেন তিনি

আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। তবে, দমকলের প্রাথমিক অনুমান, ওই ভবনটিতে বৈদ্যুতিন সংরঞ্জামের একটি গুদাম রয়েছে। সেখান থেকেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর নেই বা কিংবা ভিতরে কেউ আটকে রয়েছেন বলেও কিছু জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁদনি চকের এলআইসি বিল্ডিংয়ে আগুন লাগে। এসি থেকে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তখন দমকলের চারটি ইঞ্জিন প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই ঘটনার আট দিন পরে আবার আগুন লাগার ঘটনা ঘটল চাঁদনিতে।