কলকাতা: বেঙ্গালুরু ক্য়াফে বিস্ফোরণ (Bengaluru Blast Incident) কাণ্ডে দুই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতেই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতেই আাব্দুল ও মুসাভির চেন্নাইয়ে এসেছিল। বেঙ্গালুরুতে কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটানো হবে, তার পরিকল্পনা ও রেইকিও করেছিল। তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দুই আইসিস জঙ্গি শিবমোগা মডিউলের সদস্য। শিবমোগা তীর্থহল্লির বাসিন্দা হুসেন এবং তাহা। একাধিক সন্ত্রাসী মামলায় অভিযুক্ত এরা দুজন। ২০১৯ সাল থেকে এরা পলাতক ছিলেন। কর্ণাটক পুলিশ যখন আল-হিন্দ সন্ত্রাসী মডিউলটি (All-Hind module) ফাঁস করে তখন এই দুজন নিরাপত্তা সংস্থার নজরে আসে। বেঙ্গালুরুর ক্যাফেতে বিস্ফোরণের পরই তদন্তকারী সংস্থা শারিক, মেজর মুনির নামক মেঙ্গালুরুতে কুকার বিস্ফোরণে জড়িত সন্দেহভাজন অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। তারপরই এদের নাম উঠে আসে।
তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই হামলার সঙ্গে অনেকে জড়িত ছিল। তাদের অ্যাকাউন্ট ট্র্যাক করা হয়। অভিযুক্তরা ক্রিপ্টো অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছে। ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করায় কোনও সূত্র মিলছিল না। শুক্রবারই দিঘার হোটেল থেকে মুসাভির হুসেন সাজিব এবং আব্দুল মতিন আহমেদ ত্বহাকে গ্রেফতার করে এনআইএ। ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যুক্ত শিবমোগা মডিউলের জন্য কাজ করত এই মুসাভির। ধৃত ২ জন ছাড়াও কলকাতায় এসেছিল আরেক সন্দেহভাজন জঙ্গি! কলকাতায় তিন জন জঙ্গি এসেছিল। ধর্মতলায় তিন জঙ্গি দেখাও করেছিল। এনআইএ সূত্রে খবর, ২ দিন কলকাতায় ছিল সন্দেহভাজন জঙ্গি মোজাম্মেল শরিফ। কলকাতায় ধর্মতলার হোটেলে থাকার পর ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে আইএস-এর একটি স্লিপার সেলে গা ঢাকা দেয় দুই জঙ্গি।
আরও পড়ুন: গার্ডেনরিচে বাড়ি ধসে মৃত্যু, ৩ ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করল পুরসভা
এনআইএ হেফাজতে রয়েছে মোজাম্মেল শরিফ। মুজাম্মিলকে জেরা করেই আব্দুল মতিন আহমেদ ত্বহা ও মুসাভির হুসেন শাজিবের খোঁজ মিলেছিল বলে সূত্রের খবর। মোজাম্মেলই তাঁদের প্রতিদিনের খরচ এবং নাশকতামূলক পরিকল্পনার জন্য টাকা দিয়েছিল। বেঙ্গালুরুর কাফেতে বিস্ফোরণের জন্য এই মোজাম্মেলই আবদুল মতিনদের হাতে বিস্ফোরক তুলে দিয়েছিল, দাবি তদন্তকারীদের।
দেখুন ভিডিও