কলকাতা: আজ অর্থাৎ বুধবার ধনধান্য স্টেডিয়ামে এক সপ্তাহব্যাপী স্টুডেন্টস উইক অনুষ্ঠানের সমাপনী অনুষ্ঠানে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তো সবাই হোম ডেলিভারি, আসল বয়সটা লুকিয়ে থাকে!’ তারপরেই মমতা বলেন, ‘ আমারও বয়েস ৫ বছর বাড়ানো আছে!’
তাতেই প্রশ্ন উঠছে, মুখ্যমন্ত্রীর জন্মদিন ৫ জানুয়ারি, ১৯৫৫ তে। তাহলে কি সেটা ঠিক নয়? মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে এই প্রশ্নই উঠছে।
সরকারিভাবে মুখ্যমন্ত্রীর বয়স ৭০। যদি মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ধরা হয় তাহলে তাঁর বয়স ৬৫! মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে এই জল্পনাই আরও উস্কে গেল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ঘটনাটা জানানোর পর থেকে আসলটা জানার অনেক চেষ্টাও করেছি। আমার ‘একান্তে’ বইতে আমি এগুলো লিখেওছি। যতটা লেখা সম্ভব।”
আরও পড়ুন: অসমের খনি থেকে উদ্ধার আরও এক শ্রমিকের নিথর দেহ!
এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “সবাই আমার জন্মদিন জন্মদিন করে, কিন্তু আমার এই জন্মদিন ভাল লাগে না। কারণ, আমরা তো সবাই হোম ডেলিভারি। নামও নিজে দিইনি, পদবীও নিজে দিইনি, বয়সও নিজে দিইনি!”
এদিন স্টুডেন্টস উইক অনুষ্ঠানের সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইও। তাঁকে মাননীয়া সবার সঙ্গে আলাপ আলাপ করিয়ে দিয়ে মমতা বলেন, “জন্মদিনের দিনটা আমার মোটেই পছন্দকর নয়। ওটা সার্টিফিকেটের বয়স। ওটা বাবা-মা করে দিয়ে গেছে। আমি জানতামও না। যখন কলেজে পড়ি তখন দাদা আমাকে একদিন বলল- তুই কি জানিস বাবা কী করে তোর বয়স দিয়েছে? সার্টিফিকেটে তোর আর আমার বয়সে ৬ মাসের ডিফারেন্স!”
ছোটবেলার ঘটনার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, “দাদা বলল-বাবা স্কুলে গেল, বাবার একটা বন্ধু ছিল, তাকে বলল, তুমি একটা বয়স বসিয়ে দাও। তার তো কোনও দোষ নেই! বাবা বলেছে, সে বসিয়ে দিয়েছে। আগেকার দিনে এটা একটা প্রবেলম ছিল,. বাড়িতে যারা জন্মেছি, হোম ডেলিভারি, আসল বয়সটা লুকিয়ে থাকে, সার্টিফিকেটের বয়সটা মানুষ ধরে নেয়।”
দেখুন অন্য খবর