ওয়েব ডেস্ক: দিল্লিতে ৫৭ শতাংশের বেশি ভোট পড়ল। বুধবার সকাল ৭টা থেকে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের (Delhi Assembly Election 2025) ভোটগ্রহণ শুরু হয়। তা শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টায়। নির্বাচনী সমীক্ষায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপের পক্ষে জনমত যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। কিছুক্ষণের মধ্যে বিভিন্ন সংস্থার করা এগজিট পোল (Exit Poll) প্রকাশ্যে আসবে। সাধারণত বেশি ভোট পড়লে তা ক্ষমতাসীন দলের বিপক্ষে যায়। এই নিয়ে চতুর্থবার ক্ষমতায় বসতে লড়াইয়ে নেমেছে আপ (AAP)। তাদের চিন্তা অ্যান্টি ইনকাম্বেন্সি নিয়ে। ২৭ বছর পর দিল্লির দখল নিতে মরিয়া বিজেপি। ডাবল ইঞ্জিন সরকার কি বেছে নেবেন দিল্লিবাসী। শীলা দীক্ষিত পরবর্তী কংগ্রেসের হাল দিল্লিতে ক্রমশ খারাপ হয়েছে। তারা বিশেষ সুবিধা করতে পারবে এমন বিশেষ কোনও সম্ভাবনা দেখা যায়নি। তবে কংগ্রেসের ভোট শেয়ার কাটাকুটির অঙ্কে আপ ও বিজেপির মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য বদল ঘটিয়ে দিতে পারে বলেও অনেকে মনে করছেন। ৭০ আসনের বিধানসভার ফল (Result) প্রকাশ হবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি।
এবারের ভোটে বিজেপির ইস্যু ছিল কেজরিওয়াল সরকারের দুর্নীতি। তাছাড়া হিন্দুত্ব অ্যাজেন্ডা তো ছিলই। আপের অভিযোগ ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশ, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের। কংগ্রেস, আপ ও বিজেপি দুই পার্টিকেই নিশানা করে। মহিলা ভোটারদের মন জয়ে প্রতি মাসে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নগদ টাকা তুলে দিতে সব পার্টিই খয়রাতির নানা ফিরিস্তি দেয়।
আরও পড়ুন: ৫ মিটার এগোলেই ঘটত মারাত্মক দুর্ঘটনা, লাইনচ্যুত মালগাড়ি
রাজধানী দিল্লির অর্ধেক ভোটার বাইরের এলাকা থেকে আসা। চাকুরিজীবী, দেশের সবচেয়ে হাইপ্রোফাইল নাগরিকদের ভোট কেন্দ্র দিল্লিতে গরিব কলোনিও রয়েছে। পাশাপাশি নথিভুক্ত না হওয়া কলোনিও রয়েছে। সেখানকার গরিব মানুষ পানীয় জলের সমস্যা, পরিচ্ছন্নতা সহ ন্যুনতম সরকারি পরিষেবার দাবিতে ভোট দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তরুণ সমাজের অনেকে জানিয়েছেন কর্মসংস্থানের দাবিকে সামনে রেখে ভোট দিয়েছেন। দিল্লিতে সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা দেশে মডেল হয়ে উঠেছিল। কিন্তু এখন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আবগারি কেলেঙ্কারিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী, উপ মুখ্যমন্ত্রীকে জেলে যেতে হয়েছিল। ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেনের মতো কেজরিওয়াল কি সহানুভূতির হাওয়া পাবেন, না কি ইউপিএ সরকারের বিদায়ের সময়ের মতো বিজেপির দুর্নীতির তাস কাজ করে সেটাই দেখার।
দেখুন অন্য খবর: