Wednesday, June 11, 2025
HomeScrollবিকাশ ভট্টাচার্যকে আইসোলেট করা উচিত, কেন মামলা করলেন? প্রশ্ন মমতার
Mamata Banerjee

বিকাশ ভট্টাচার্যকে আইসোলেট করা উচিত, কেন মামলা করলেন? প্রশ্ন মমতার

সিপিএমের কারও কোনও চাকরি খাইনি, বদলা নয় বদল চাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী

Follow Us :

কলকাতা: কারও চাকরি যাবে না। যারা যোগ্য তাদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব সরকারে। সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সমাবেশে চাকরিহারাদের (SSC Recruitment Case Verdict) পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ‘চাকরিহারা যোগ্যদের জন্য আইনি লড়াই লড়বেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, কপিল সিব্বল, প্রশান্ত ভূষণ, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাকেশ দ্বিবেদীরা। সরকার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যোগ্য প্রার্থীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করে দেবে। অযোগ্যদের ওএমআর-সহ যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখা হবে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, কারও চাকরি কোনও দিন খাইনি। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি আমি জীবনে জেনে শুনে কারও চাকরি খাইনি। তাই এনেক কিছুর পরও সিপিএম (CPM)-এর কারও চাকরি খাইনি।

মমতা বলেন, ‘চাকরিহারাদের জন্য শোকে আমার মন পাথর। আমি বেঁচে থাকতে যোগ্যদের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। এটা আমার চ্যালেঞ্জ। শিক্ষাব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। মমতা বলেন, আমি অনেক কথা জেনেও সিপিএমের কারও কোনও চাকরি খাইনি। বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya) কেন মামলা করলেন? প্রশ্ন করে উত্তর চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী। সিপিএমকে এর জবাব দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, কাউকে চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা নেই, কিন্তু চাকরি কাড়ার ক্ষমতা আছে। তাঁদের ধিক্কার জানাই। যাত্রাপালার মাধ্যমে আপনাদের ভুল বোঝাচ্ছে। রাজ্য সরকার অনেক চেষ্টা করেছিল। এই রায়ের পিছনে কোনও খেলা তো নেই? প্রশ্ন তুলে মমতা বলেন, সুপ্রিম কোর্ট বলেনি, কে যোগ্য কে অযোগ্য, সরকারকে যোগ্য অযোগ্য করে দেওয়ার সুযোগ দেয়নি। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংয়ের সুযোগও দেয়নি।

আরও পড়ুন: চাকরি বাতিল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে নতুন করে আবেদন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের

সিপিএম ৩৪ বছর অনেক অন্যায় করে গিয়েছে। কারণ আমি বলেছিলাম, বদল চাই, বদলা নই। তুমি গিয়ে কেন অ্যাপ্লাই করলে? বিকাশভট্টাচার্যকে প্রশ্ন মমতার। কেন সমস্ত তালিকা বাতিল করেছে? আজকে বাইরে আমার নামে বড় বড় কথা বলছো। আমি তো চাকরিগুলো দিয়েছিলাম। আমার সরকার দিয়েছিল। এক দুটো কাজ করতে গেলে ভুল হতেই পারে। সেই ভুল সংশোধনের জন্য প্রশাসনকে সময় দাও। তা তো দাওনি। ভুল হয়ে থাকে, সংশোধন করার দায়িত্ব কার? কোর্ট যদি প্রশাসনকে সেই দায়িত্ব দিত, প্রশাসন নিশ্চয়ই সেই কাজটা করতে পারত। আমাদের সকলকে সঙ্কটের মধ্যে এসে দাঁড় করিয়েছে। আসল কথা বলার আমাকে জেলেও ভরে দিতে পারে। ২০২২ থেকে নোংরা খেলা শুরু করেছে। চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা নেই। চাকরি কাড়ার যাঁদের ক্ষমতা রয়েছে, তাঁদের আমি ধিক্কার জানাই। কোনটা মুখ, কোনটা মুখোস, সেটা জানতে হবে। আমি বেঁচে থাকতে কোনও যোগ্যদের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না।

দেখুন ভিডিও

RELATED ARTICLES

Most Popular