কলকাতা: নববর্ষের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে ছোটবেলায় ফিরে গেলেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি(Swastika Mukherjee)। তিনি সবসময় সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্ট সক্রিয়। তার পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে পহেলা বৈশাখের(Bengali New Years Day) আমেজে দিদির সঙ্গে মেতে উঠেছেন অভিনেত্রী। স্বস্তিকা লিখেছেন নতুন বছরের প্রথম দিনের সঙ্গে প্রথম আলাপ করিয়ে দিয়েছিল তার মা। ছোটবেলায় স্বস্তিকার মা বছরের প্রথম দিনে দেশপ্রিয় পার্কের দোকান থেকে তাদেরকে এমব্রয়ডারি করা টেপ ফ্রক,ইমিটেশন দুল,চুরি, চুলের ক্লিপ এসব কিনে দিতেন। তাতেই আমরা যথেষ্ট খুশি হতাম। সেই ঐতিহ্য এখনো বজায় রেখেছি। এই দিনটা দুজনেই নতুন শাড়ি পরে উদযাপন করছি।
মনে আছে এই দিনটা সকাল সকাল আমরা ঘুম থেকে উঠতাম আর বাবা বলতেন, ‘শুভ একলা বৈশাখ’। বাবা অর্থাৎ অভিনেতা সন্তু মুখার্জি এবং মা কেউ আর পৃথিবীতে নেই। তবুও প্রতিবছর প্রথম দিনটা তাদের কথা ভীষণভাবে মনে পড়ে। তাই এই দিনটার সকলের স্মৃতির এক ঝলক অভিনেত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরে অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করে নিয়েছেন।
অন্যদিকে আর এক জনপ্রিয় টলি অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী(Mimi Chakraborty) নববর্ষে হালখাতার স্মৃতি হাতরে বলছেন প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে আমাদের বাড়িতে পুজো হয়। ছোটবেলা থেকেই সেই রীতি দেখে আসছি। মিমি জলপাইগুড়ির মেয়ে। তিনি বলছেন ছোটবেলায় জলপাইগুড়িতে এই দিনটা মা-বাবার সঙ্গে হালখাতায় যেতাম। সারাদিনটা হই হই করে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে কাটাতাম। সবাই আমরা এই দিনটাতে নতুন জামা কাপড় পেতাম। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাড়িতে আমরা নতুন জামা কাপড় পরে পুজোয় বসতাম। আমার মামার মুদিখানার দোকান রয়েছে সেখানে যেতাম। আমার দায়িত্ব ছিল ফল কাটা।
পহেলা বৈশাখের পুরনো দিনের স্মৃতিহাত্রে মিমি আরো জানালেন বছরের প্রথম দিন মানে ই নতুন জামা আর মিষ্টি খাওয়া নয়,বরং একরাশ আবেগ পরিবারের সঙ্গে কাটানো সোনালী সব মুহূর্ত।
মনে আছে ছোটবেলায় মা বলতেন নতুন বছরে তুমি যা করবে সারা বছর সেই রকমই চলবে। কাজ দিয়ে শুরু করাটই আমার মনে হয় সব থেকে ভালো আর কাজ মানে আমার কাছে ‘হ্যাপি প্লেস’। নববর্ষে আমার কাছে অবশ্য খাওয়া-দাওয়া টা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি খাদ্য রসিক। আমি ওলাও খেতে ভালবাসি বলে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাড়িতে পোলাও রান্না হতো।
রাত্রিবেলা ভাই-বোনেরা একত্রিত হয়ে দেখতাম, কে কতগুলো, কোন লাড্ডু সংগ্রহ করতে পেরেছে। দারুণ মজার স্মৃতি। আশেপাশের গ্রাম থেকে আমন্ত্রিত অনেকে আসতেন। পহেলা বৈশাখে কেউ যেন মিষ্টিমুখ না করে যান, সেদিকটা বরাবর নজরে থাকত বাড়ির বড়দের।
রাত্রিবেলা ভাই-বোনেরা একত্রিত হয়ে দেখতাম, কে কতগুলো, কোন লাড্ডু সংগ্রহ করতে পেরেছে। দারুণ মজার স্মৃতি। আশেপাশের গ্রাম থেকে আমন্ত্রিত অনেকে আসতেন। পহেলা বৈশাখে কেউ যেন মিষ্টিমুখ না করে যান, সেদিকটা বরাবর নজরে থাকত বাড়ির বড়দের।
?