নয়াদিল্লি: সপ্তাহ খানেক সময়ের মধ্যে বদলে গিয়েছে সার্বিক পরিস্থিতি। আফগানিস্তান তালিবানের দখলে যেতেই পালটে গিয়েছে আন্তর্জাতিক কূটনীতির চিত্র। এই অবস্থায় তালিবান নিয়ে দিল্লি কী অবস্থান নেবে- সেদিকে নজর রয়েছে ভারতের আম জনতা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক মহলের।
তালিবান শাসনকে সমর্থন জানিয়ে তাদের সঙ্গে কাজ করার বার্তা দিয়েছে পাকিস্তান, চীন, রাশিয়া ও ইরান। তালিবান ইস্যুতে ভারত কী অবস্থান নেবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। অসম, কর্ণাটকের মতো বেশ কয়েকটি বিজেপি শাসিত রাজ্যে তালিবান সমর্থন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করায় গ্রেফতার করা হয়েছে। সেক্ষত্রে মনে করা হচ্ছে, তালিবানের প্রতি কঠোর মনোভাব নেবে নয়াদিল্লি।
যদিও এই বিষয়ে এখনই চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি দিল্লির সাউথ ব্লক। আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার সর্বদল বৈঠক করে ভারত সরকার। সেই বৈঠক শেষে বিদেশমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয় তালিবান নিয়ে ভারতের অবস্থান কী? যার জবাবে এস জয়শঙ্কর বলেছেন, “আফগানিস্তানের পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এই বিষয়ে ভাবা যাবে।”
আরও পড়ুন- হাল ফেরাতে অনলাইন মার্কেটেই আস্থা রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্প ও বস্ত্র দফতরের
রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকলেও জাতীয় স্বার্থে সবাই এক। আফগানিসান ইস্যুতে ভারতের শক্তিশালী জাতীয় অবস্থান রয়েছে। আফগানদের বন্ধুত্বের গুরুত্ব দেবে ভারত। বৃহস্পতিবার সর্বদল বৈঠকের পরে এমনই জানালেন মোদি সরকারের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তাঁর কথায়, “আফগানিস্তান নিয়ে সরকার-সহ সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব একই অবস্থান নিয়েছি। আফগানিস্তান ইস্যুতে আমাদের একটা শক্তিশালী জাতীয় অবস্থান রয়েছে। আফগান নাগরিকদের সঙ্গে বন্ধুত্বের বিষয়টি আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
আরও পড়ুন- রাজনীতির পালাবদলে কোপ পড়ছে পুলিশের উপর, বুঝিয়ে দিলেন রামানা
ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের দিনে আফগানিস্তানের দখল নিয়েছিল তালিবান। সেই সময় থেকে গত এক সপ্তাহ ধরে ক্রমশ অবনতি হয়েছে পরিস্থিতির। কর্মসূত্রে বহু ভারতীয় ওই দেশে বসবাস করতেন। তাঁদের নিরাপদে দেশে ফেরানোর বিষয়ে উদ্যোগী হয় সাউথ ব্লক। সেই লক্ষ্যে বিশেষ ব্যবস্থা করে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। আফগানিস্তান পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিশেষ সেল গঠন করা হয়। হেল্পলাইন নম্বর, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ই-মেল পরিষেবা চালু করা হয়।