ওয়েব ডেস্ক: জুলাই আন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা ওসমান হাদির মৃত্যুতে উত্তাল বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই জ্বলছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। রবিবারও পরিস্থিতি থমথমে। শনিবারই কবর দেওয়া হয়েছে ওসমান হাদির মরদেহ। তাঁর খুনিদের ধরতে বাংলাদেশ প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। ছায়ানটে হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে ঢাকা পুলিশ। পরিস্থিতি বিচার করে চট্টগ্রামের ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র (Indian Visa Application Centre) (আইভ্যাক) বন্ধ করল নয়াদিল্লি। পাশাপাশি, সিলেটের ভারতীয় উপদূতাবাস এবং ভিসা আবেদন কেন্দ্রেরও নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে খবর।
চট্টোগ্রামে ভারতের সহকারী হাই কমিশানার জানিয়েছে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনার জেরে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। সেই কারণেই রবিবার থেকে চট্টগ্রামের ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রবিবার আইভ্যাকের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি জারি না করা পর্যন্ত এই পরিষেবা চট্টগ্রামে বন্ধ থাকবে। দফতর যে নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে।পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার পরে সেই মতো ভিসা আবেদন কেন্দ্র আবার খোলার কথা ঘোষণা করা হবে। সিলেটের ভারতীয় উপদূতাবাস ও ভিসা আবেদন কেন্দ্রের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার।
আরও পড়ুন: আগাম কোনও ঘোষণা ছাড়াই রবিবার সকালে গ্রিন লাইনে চলল না মেট্রো
গত বৃহস্পতিবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর পরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। ওই রাতে বিভিন্ন এলাকায় ভারতের উপদূতাবাস ঘেরাও করার কর্মসূচি ঘোষণা করে গণ অধিকার পরিষদ।জনতার রোষ থেকে রেহাই পায়নি ভারতীয় দূতাবাস, আওয়ামি লিগের দফতর। ধর্মনিরপেক্ষ সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটে আগুন ধরানো হয়। উন্মত্ত জনতার হাতে চট্টগ্রামে খুন হন এক সাংবাদিক। পাশাপাশি, ময়মনসিংহে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় এক হিন্দু যুবককেও।ইতিমধ্যে দীপুকে খুনের ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus) বিবৃতি দিয়ে পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন।







