গত কয়েক মাস ধরে কেন এই ইনকাম ট্যাক্স, ইডি, সিবিআই এত সক্রিয়? এবং কেন তাদের সক্রিয়তা কেবল কিছু রাজ্যে, কেবল কিছু সংগঠন, রাজনৈতিক দলকে ঘিরে? আসুন সেটা নিয়ে কথা বলা যাক। তাকিয়ে দেখুন এই ভিজেলেন্স সক্রিয়তা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, শিবসেনা, এনসিপি, ঝাড়খণ্ড পার্টিকে ঘিরে, সক্রিয়তা বাংলায়, বিহারে, ঝাড়খণ্ডে, কর্নাটকে, দিল্লিতে। এই রোডম্যাপ দেখলেই খুব পরিষ্কার যে দুর্নীতি ইত্যাদি ফালতু বকওয়াস, আসল লক্ষ্য ২০২৪। বিরাট ভাবে আসন কমবে বিহারে, বাংলায়, ঝাড়খণ্ডে, মহারাষ্ট্রে, কর্নাটক, দিল্লিতে। এবং চিন্তা ভরপাই কাহা সে হোগা?
এই রাজ্যগুলোতে যে ক্ষতি হবে, প্রায় ৭০-৭৫টা আসনের ক্ষতি পূরণ হবে কোন রাজ্য থেকে? গুজরাত, হিমাচল, উত্তরাখণ্ড তো নতুন কিছু দেবে না, উত্তরপ্রদেশে যতই ভালো করুক, ২০১৯-এর রেজাল্ট হওয়া সম্ভব নয়, অসমের নতুন করে দেওয়ার কিছু নেই, কেরালা, তামিলনাডুর থেকে পাওয়ার কিছুই নেই। এ তো গেল রাজ্য আর রাজনৈতিক দলের কথা। ওদিকে দেশজুড়ে টিভি চ্যানেলের বশ্যতা কিনে নিয়েছে কিনতে পারেনি রবীশ কুমার, অজিত অঞ্জুম, ধ্রুব রাঠী, সংকেত উপাধ্যায়, বরখা দত্ত, পূণ্য প্রসূন বাজপেয়ীদের ইউটিউব শোগুলোকে, বাংলায় কলকাতা টিভি, চতুর্থ স্তম্ভকে, কাজেই তাদের স্তব্ধ করতেই হবে। আপ-এর অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মণীশ সিসোদিয়া সঞ্জয় সিং জেলে, ইডি রোজ ডাকছে বিরোধী নেতাদের, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীকে, বাংলাতে তো বলতে গেলে তাণ্ডব চলছে। সুবিধে কোথায়? বিরোধী দলের কিছু নেতার দুর্নীতি তো ছিল, আছে, সেগুলোকে সামনে রেখে এই রেডগুলো দিয়ে প্রচার হল সমস্ত বিরোধী দলই চোর, প্রত্যেকটা দল চোর, কিন্তু সেই চোরেরাই যখন বিজেপিতে ঢুকে যাচ্ছে, তখন তারা বশিষ্ঠ মুনি, ভরদ্বাজ ঋষি। একই নারদার জন্য ববি হাকিমের কাছে সিবিআই যাচ্ছে, শুভেন্দু অধিকারী গায়ে ফুঁ দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব ৩৩)
দেশ চলছে আইন দিয়ে নয়, ইডি, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্স আর ভিজিলেন্স-এর ভয় দেখিয়ে, বিচারক রিটায়ার করার পরে পেয়ে যাচ্ছেন রাজ্যসভার পদ। অর্থাৎ বিজেপি জানে, মোদি–শাহ খুব ভালো করে জানেন, ভোট হলে বাংলায় ২০২৪-এ বড়জোর ৫-৬টা আসন, অতএব কুত্তা লেলিয়ে দাও, ভয় দেখাও সেই ভয়ের অঙ্গ হিসেবেই এক ফোর টোয়েন্টি আসামির অভিযোগে আজ ২৬১ দিন হয়ে গেল আমাদের সম্পাদক কৌস্তুভ রায় জেলে। আমরা ভয় পেয়েছি? দেখে মনে হচ্ছে? আমরা আরও জোর গলাতে বলছি, এজেন্সি রাজ চালাচ্ছে বিজেপি, মোদি–শাহ। আমরা এজেন্সি রাজের বিরুদ্ধে বলব। বিচার চাইব। জাস্টিস ফর কলকাতা টিভি, জাস্টিস ফর কৌস্তুভ রায়।
দেখুন ভিডিও: