রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী তিনি। তৃণমূলের জয়ী বিধায়ক। এখনও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেননি। তাই কি মনোজ তিওয়ারিকে বাংলা রঞ্জি ট্রফি দলের প্রাথমিক দলে রাখা হয়েছে? সিএবি’ র পক্ষ থেকে সোমবার রঞ্জি ট্রফির জন্য যে ৩৯ জনের নাম রাখা হয়েছে, তাতে ৮ নম্বরে আছে, মনোজ তিওয়ারির নাম।
তালিকার নিচে সই আছে সি এ বি সচিব প্রাক্তন রঞ্জি ক্রিকেটার স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের। তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে, উনি বলেন লোধা আইনের আওতায় ব্যাপারটি আসছে না। ওনার বক্তব্য : ‘লোধা আইনের আওতায় আছে বিধায়ক বা সাংসদ হলে বিসিসিআই প্রশাসনে থাকা যাবে না।’ সেক্ষেত্রে মন্ত্রী মনোজের রাজ্য দলের হয়ে খেলতে কোনও সমস্যা নেই।
এই তালিকায় মনোজের নাম এখন রাখা মানে – নিশ্চিত ভাবেই বলা যায় আগে থেকে কথা বলেই এটা করা হয়েছে। মনোজ এখন মন্ত্রী। তাঁর মত ছাড়া এমনভাবে দেশের প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্টের জন্য বাংলা দলে নাম রাখা সম্ভবপর ছিল না।
মনোজের সঙ্গে যোগাযোগ করলে, তিনি জমাট আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, ‘বাংলার হয়ে এবারের গোটা মরশুম তো খেলবই, ইচ্ছে আছে আরও ৫ বছর খেলার।’
আরও পড়ুন: আইসিসিরও ভরসা বিসিসিআই !
যখন জাতীয় দল বা আইপিএলে কোনো দলে খেলার সম্ভাবনা থাকছে না, তখন অনেক নামকরা ক্রিকেটাররা অবসর নিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু মনোজ যে আপাতত তা করছেন না, এটা নিশ্চিত।
আগামী শুক্রবার থেকে বাংলার নির্বাচিত সব ক্রিকেটারদের ফিজিক্যাল ট্রেনিং শুরু করতে চলেছে সিএবি। মনোজ প্রথমদিন থেকেই হাজির থাকবেন বলে জানিয়েছেন।
যেভাবে এই পদক্ষেপ করেছে সিএবি এবং মনোজ স্বয়ং, তাতে বলাই যায় – বাংলার এই ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী রঞ্জি এবার খেলতে নামলে তা এক নজিবিহীন ঘটনা।
রাজনৈতিক মহলে অবশ্য, দু’ধরনের প্রতিক্রিয়া মিলেছে। অনেকেই বলেছেন, দেব – নুরসত – মিমিরা তো সিনেমা করছেন। তাহলে মনোজের খেলতে বাধা কোথায়? আবার এক পক্ষ বলছেন,সত্যিকারের রাজনীতি এরা করতে আসে কি? একটা শেষ করে অন্যটা করলে, দুটোই ভালো হয়।
নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, মনোজ এই সিধ্যান্ত নেওয়ার আগে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি নিয়েছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে সত্যি ক্রীড়াপ্রেমী তা আরও একবার প্রমাণিত। নিজের মন্ত্রীসভার এই মন্ত্রীকে খেলার মাঠে বাংলার জন্য লড়তে এগিয়ে দিলেন। এমনভাবেই, বাংলার প্রাক্তন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে তৃনমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতির মঞ্চ থেকে সরে আসার অনুমতি দিয়েছিলেন। লক্ষ্মী এবার বাংলা অনূর্ধ্ব ২৩ দলের কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন। আবার মাঠে ফিরে এসেছেন।