ইস্ট বেঙ্গল ক্লাব ছিল তাঁর রক্তে। তাঁর যৌবনের লীলাভূমি, বার্ধক্যের বারানসী। তাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর মরদেহ যখন ইস্ট বেঙ্গল মাঠের সিংহ দুয়ার দিয়ে প্রবেশ করে লনের উপর রাখা একটি সাদা বেদীতে শোয়ানো হল তখন সেখানে তিল ধারণের জায়গা নেই। লাল হলুদের খুদে ফুটবলাররা ক্লাবের জার্সি পরে মরদেহের চারপাশে দাঁড়িয়ে পড়লেন। ছোট্ট মঞ্চে সুরজিতের ছবি। তলায় ক্যাপশন-তুমি রবে নীরবে। ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নেতৃত্বেই সুরজিতের শেষ যাত্রা। তাঁকেই দিতে হল প্রথম মালাটা। এর পর ক্লাবের পক্ষ থেকে মালা দিলেন ডাঃ শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত। একে একে এগিয়ে এলেন মালা হাতে এগিয়েএলেনসুরজিতেরসতীর্থরা।গৌতমসরকার,সমরেশচৌধুরি,রঞ্জিতমুখার্জি,ভাষ্করগাঙ্গুলিরা।এরপরতাঁরঅনুজরা।মনোজিৎদাস,সুখেনসেনগুপ্ত,রাজনারায়নমুখার্জিরা।ক্লাবেরপ্রধানকর্তাদেবব্রতসরকার,রাজাগুহ,রূপকসাহারামাল্যদানকরতেকরতেইএসেগেলেনমেয়রফিরহাদহাকিম,বিধায়কদেবাশিসকুমার,মহমেডানকর্তাকামারুদ্দিন।মালাদেওয়ারপরকান্নায়ভেঙেপড়লেনগোটমসরাকার।তাঁকেসামলাতেহলদেবব্রতসরকারকে। ইস্ট বেঙ্গল মাঠ থেকে সুরজিতের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হল মোহনবাগান মাঠে। এই ক্লাবেও সুরজিৎ খেলেছেন পাঁচ বছর। মোহনবাগান লনে বেদীর উপর শায়িত সুরজিতের মরদেহে মালা দিলেন বিদেশ বসু, মানস ভট্টাচার্য, সত্যজিৎ চ্যাটার্জিরা। সঙ্গে অসংখ্য সবুজ মেরুন জনতা। করোনার প্রকোপ যখন কমে আসছে তখন করোনায় সুরজিতের চলে যাওয়া মানতে পারছেন না কেউই। কিন্তু এটাই জীবন, দেয় যেমন, কেড়ে নেয়ও তেমন অনেক কিছু।
ফুলে, মালায়, চোখের জলে সুরজিৎকে শেষ বিদায় ময়দানের
Follow Us :