আমতা: আমতার ছাত্রনেতা আনিস খানের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় আনিসের বাবা সালেম খান-সহ, পরিবারের মোট চার জনের গোপন জবানবন্দি নেওয়া হল বুধবার। এদিন আমতা সারদার বাড়ি থেকে বাবা সালাম খাঁন,দাদা সাবির খান সহ দুই খুড়তুতো ভাইকে উলুবেড়িয়া আদালতে নিয়ে যান সিটের সদস্যরা। সেখানেই তাঁদের গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আমতার দক্ষিণ খান পাড়ায় অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় ছাত্রনেতা আনিস খানের। তাঁর বাবা সালেম খানের অভিযোগ, পুলিসের পোশাক পরা একজন এবং সিভিক ভলান্টিয়ারের পোশাক পরা তিন যুবক ছেলেকে ডাকে। বলা হয়, তারা আমতা থানা থেকে এসেছে। ঘরে ঢুকে পুলিসের পোশাক পরা যুবক সালেমকে একটি ঘরে আটকে রাখে। তার হাতে বন্দুক ছিল। বাকি তিনজন ছাদে চলে যায়। সালেম জানান, তাঁর ছেলে তখন ছাদেই ছিল।
কিছুক্ষণ পর ওই তিনজন নেমে এসে পুলিসের উর্দিধারীকে বলে, স্যার, কাজ হাসিল হয়ে গিয়েছে। এরপরেই চারজন বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। পরে বাড়ির সামনে আনিসকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা যায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাঁকে আর বাঁচানো যায়নি। এর পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। গোটা ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি।
আরও পড়ুন- Medinipur: তৃণমূলের হয়ে পুরভোটে প্রচার করেননি, চাকরি খোয়ালেন মিড ডে মিল কর্মী
এরপরেই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিট গঠনের কথা জানান। তিনি দাবি করেন, তদন্ত হবে নিরপেক্ষ। যারা দোষী তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। সিআইডির অ্যাডিশনাল ডিজি জ্ঞানবন্ত সিংয়ের (Gyanwant Singh) নেতৃত্বে গঠন করা হয় সিট। সিটের অপর দুই সদস্য ডিআইজি, সিআইডি মিরাজ খলিদ এবং ব্যারাকপুরের যুগ্ম পুলিস কমিশনার ধ্রুবজ্যোতি দে। তদন্ত শুরু করে সিট। কবর থেকে তুলে দ্বিতীয়বারের জন্য ময়নাতদন্ত করা হয় আনিসের দেহ। মঙ্গলবার এই তদন্তের স্বার্থেই গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয় আনিস খানের পরিবারের চার সদস্যের।