বালুরঘাট: ৮৪ বছরের বৃদ্ধের শরীরে মহিলার ডিম্বাশয়! কিডনির আলট্রাসোনোগ্রাফি করতে গিয়ে এমন রিপোর্ট দেখে চক্ষু চড়কগাছ চিকিৎসকের। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের ঘটনা। শনিবার বৃদ্ধের এমন রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতে ওই ডায়গনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। যদিও ওই সেন্টার দাবি করেছে, রিপোর্টে ছাপার ভুলের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।
৮৪ বছরের বৃদ্ধ অমিয় চক্রবর্তী মালদার বাসিন্দা। বেশ কিছুদিন ধরেই পিঠের ব্যথায় ভুগছিলেন। কয়েকদিন আগে বালুরঘাটে আসেন চিকিৎসার জন্য। কিডনির সমস্যা হতে পারে এই সন্দেহে চিকিৎসক তাঁকে কিডনির ইউএসজি করতে পরামর্শ দেন। বালুরঘাটের এক ডায়গনস্টিক সেন্টারে বৃদ্ধ যান তাঁর কিডনির আলট্রাসোনোগ্রাফি করতে। রিপোর্টে দেখা যায়, বৃদ্ধের শরীরে বাসা বেঁধেছে মহিলাদের ডিম্বাশয়। এমন রিপোর্ট দেখে হতবাক প্রত্যেকে। তারপরেই ডায়গনস্টিক সেন্টারের গাফিলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হন পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, বালুরঘাটের রঘুনাথপুরে সম্প্রতি এরকম প্রচুর ভুঁইফোঁড় ডায়গনস্টিক সেন্টার তৈরি হয়েছে। সেখানে ভুলভাল রিপোর্ট দেওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়।
তাঁদের আরও দাবি, গত দুমাস আগে ওখানকারই এক ডায়গনস্টিক সেন্টারের ভুল রিপোর্টে গর্ভবতী এক বধূর সন্তান নষ্ট হয়। প্রাণ সংশয়ও দেখা গিয়েছিল তাঁর। এ ব্যাপারে রোগীর পরিবার ওই সেন্টারের বিরুদ্ধে ভুল রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ জানালেও তা খতিয়ে দেখা হয়নি। সেবারেও ডায়গনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, প্রিন্টিং মিসটেকের জন্যই ভুল রিপোর্ট এসেছে। অথচ সেই ভুল সংশোধন তো দূরের কথা, আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল।
আরও পড়ুন: Jhalda Murder: ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে অভিযুক্তের খোঁজ দিলে নগদ ইনাম
অমিয় চক্রবর্তীর পরিবারের সদস্যরা পুরো ঘটনা স্বাস্থ্য দফতরকে জানায়। জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে জানান, ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দোষ প্রমাণিত হলে ওই সেন্টারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।