দেগঙ্গা: কর্নাটকে কাজ করতে যাওয়া বাংলার ৫ মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের হাতে দু লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য তুলে দিল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, জেলাশাসক সুমিত কুমার গুপ্তা, হাড়োয়া দেগঙ্গার বিধায়কের উপস্থিতিতে পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয়।
এদিন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, বাম আমলে কোন শ্রমিকের মৃত্যু হলে ক্ষতিপূরণ পেতে এক বছরেরও বেশি সময় লেগে যেত । সেখানে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই মৃত শ্রমিকের পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক সহযোগিতা তুলে দিয়েছে রাজ্য সরকার । এমনকি সমস্ত রকম ভাবে পরিবারগুলির পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী। যদিও এদিন মৃতদের পরিবার অভিযোগ করেছে, কাজের জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনকে বললেও কোনরকম সাহায্য মেলেনি। সেই কারণেই ওই শ্রমিকদের ভিনরাজ্যে যেতে হয়েছিল।
মাস দুয়েক আগে দেগঙ্গার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় পয়ত্রিশ জন কাজে যায় কর্ণাটকে। তাঁদের মধ্যেই কয়েকজন কাজ করতেন ম্যাঙ্গালোরের একটি মাছ প্রোসেসিং ফ্যাক্টরিতে। কর্ণাটকের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, রবিবার রাতে মাছের বর্জ্য রাখার ট্যাঙ্কে নামেন সাইমুল্লা নামে এক শ্রমিক। ২০ ফুট গভীর ওই ট্যাঙ্কে বিষাক্ত গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, ওই বিষাক্ত গ্যাসে কিছুক্ষণের মধ্যে অজ্ঞান হয়ে পড়েন সাইমুল্লা। বাকিরা তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে যান। তাঁরাও ওই বিষাক্ত গ্যাসে অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন- Monteswar: মন্তেশ্বরে পরিচারিকার গলা কেটে খুন, আটক মহিলা
এই ঘটনায় মৃত্যু হয় পাঁচ জনের। গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিন জন। মৃত ওই পাঁচ শ্রমিকের নাম উমর ফারুক, সাইমুল্লা ইসলাম, নিজামুদ্দিন সাজ, মিরাজুল ইসলাম এবং শরাফত। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন মিরাজুল্লা ইসলাম, আজান আলি, কারিবুল্লা এবং আফতাল মল্লিক। এই দুর্ঘটনার খবর পেয়েই পদক্ষেপ করে নবান্ন। বিকেলে এডিজি আইন-শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম ও তথ্য-সংস্কৃতি দফতরের প্রধান সচিব শান্তনু বসু ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেন। সেই মতোই মঙ্গলবার শ্রমিক-পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণ তুলে দিলেন জ্যোতিপ্রিয়।