কেতুগ্রাম: কাঁচি দিয়ে বউয়ের হাত কেটে শাস্তি দিয়েছিল। কারণ বউকে শাসন করার অধিকার তাঁর আছে। কেতুগ্রামের রেণু খাতুনকে আহত করার পর এমনটাই বলেছিল তাঁর বর সরিফুল শেখ। পরে রেণুর আকুতিতে সাড়া দিয়ে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায় সরিফুল। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে রবিবার রাতে বরের ‘শাসনের’ এমন বর্ণনাই দিয়েছেন রেণু। এরপরই তাঁর প্রার্থনা, সরিফুলের যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়।
শনিবার রাতে রেণুর ঘুমন্ত শরীরটার উপর চড়ে বসেছিল সরিফুল। বালিশ দিয়ে মুখ চেপে ধরেছিল। আর তার দুই সঙ্গী ধরে রেখেছিল রেণুর হাত-পা। বাঁচার চেষ্টা করতেই মুখ বাঁধা লোকগুলি পালিয়ে যায়। শাস্তি দিতে রেণুর হাতটা কাঁচি দিয়ে কেটে মাটিতে ফেলে দেয় সরিফুল।
তখনও কবজি থেকে কাটা হাতটায় প্রাণ ছিল। আঙুলগুলো নড়ছিল। রক্তে ভিজে যাওয়া বাকি হাত আঁকড়ে ধরে শ্বশুরের কাছে মাটিতে পড়ে থাকা হাতের অংশ চেয়েছিলেন রেণু। কারণ চিকিৎসাশাস্ত্রে জ্ঞান থাকা এই তরুণী জানতেন, ‘প্রাণ’ থাকা হাতের অংশটা জোড়াতে পারলে হয়ত ভবিষ্যতে ডান হাতটা ‘সম্পূর্ণ’ হতে পারবে।
আরও পড়ুন- Howrah: মেয়ের দেহটা যেন রোগের চিকিৎসার দিশা দেখাতে পারে…
সেই অনুরোধটুকুও কেউ রাখেনি। পরে অবশ্য রেণুর বাড়িতে ফোন করে আঙুল শুদ্ধু হাতের অংশটা নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন সরিফুলের বাবা-ই। হাসপাতালের হাতের অংশটা নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা জানান, তাতে আর প্রাণ নেই।