হাওড়া: জেএমবি নয়, হাওড়ার বাঁকড়ায় ধৃত আমিরুদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল আল কায়দা জঙ্গি সংগঠনের। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানা গিয়েছে এসটিএফ সূত্রে। ওই সূত্রের খবর, আল কায়দার জঙ্গিদের ভারতের বিভিন্ন জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করত আমিরুদ্দিন। চলতি মাসেই অসম থেকে আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া পাঁচ বাংলাদেশিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আমিরুদ্দিনের খোঁজ পায় এসটিএফ।
অসমে ধরা পড়া জঙ্গিদের জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, আমিরুদ্দিন আনসারির মূল দায়িত্ব ছিল বাংলাদেশি জঙ্গিদের এ রাজ্যে আশ্রয় দেওয়া। তাকে গ্রেফতার করার আগে টানা কয়েক দিন নজরেও রাখা হয়েছিল। শেষপর্যন্ত মঙ্গলবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। এলাকার লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এসটিএফের তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পারেন, আমিরুদ্দিন আনসারির বাঁকড়ার বাড়িতে অপরিচিত লোকজনের আনাগোনা ছিল। তবে, তার চলাফেরা বা আচারআচরণ দেখে প্রতিবেশীদের মনে কখনও সন্দেহ দানা বাঁধেনি। পড়শিদের সঙ্গে খুব একটা মেলামেশাও করত না সে।
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার নির্দেশ
১৪ মার্চ রাতেই ডোমজুড় থানা এলাকার বাঁকড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় এসটিএফের একটি দল। বুধবার অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করে হেফাজতে নেওয়া হয়। রাজ্যে লুকিয়ে থাকা জেএমবি-র বাকি সদস্যদের হদিশ পেতে আমিরুদ্দিনকে হেফাজতে নিয়ে জেরা শুরু করেন এসটিএফের আধিকারিকরা। মোবাইল ফোনের কললিস্ট পরীক্ষা করেও দেখা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আমিরুলের মূল বাড়ি পুরুলিয়াতে হলেও বেশ কয়েক বছর ধরে হাওড়ার বাঁকড়া এলাকায় সে থাকছিল।