জলপাইগুড়ি: হাঁসখালির পর এবার জলপাইগুড়ি। মাসখানেক আগে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে এক যুবক। স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবারের অভিযোগ, অজয় রায় নাম ওই যুবক শাসকদল তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ বলে পুলিস এতদিন গ্রেফতার করেনি। শুধু তাই নয়, অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে ক্রমাগত হুমকি আসছিল। একাধিকবার প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। আর এই হুমকি সহ্য করতে না-পেরে শুক্রবার সকালে নির্যাতিতা নাবালিকা গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়িতে৷
সেই ঘটনায় ময়নাগুড়ি থানার পুলিস এদিন গ্রেফতার করেছে দুইজনকে। গ্রেফতার হয়েছে মূল অভিযুক্ত অজয় রায় এবং তার ভাই তৃণমুল নেতা বিজয় রায়। দুপুরে তাদের জলপাইগুড়ি আদালতে আনা হয়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধৃত দুজনের সাতদিনের পুলিস হেফাজতের আবেদন জানানো হবে আদালতের কাছে।
আরও পড়ুন: Weather Forecast: নববর্ষে বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়
রাজ্যে কয়েকদিন ধরেই একটার পর একটা ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসছে। কয়েকদিন আগে বোলপুরে ঋণ শোধ করতে না পেরে মেয়েকে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার হাতে তুলে দেন বাবা৷ দিনের পর দিন ওই আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণ (Bolpur Rape) করে তৃণমূল নেতা সহ কয়েকজন। সিয়ান-মুলুক এলাকায় ওই ঘটনায় অভিযুক্ত দীপ্তিমান ঘোষকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে বোলপুর থানার পুলিস। ধৃত ব্যক্তি তৃণমূলের সিয়ান-মুলুক গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য৷ নির্যাতিতা নাবালিকা এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অপরদিকে, নামখানায় এক মহিলাকে গণধর্ষণের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য গায়ে কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল। ওই মহিলা দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগ পেয়েই নামখানা থানার পুলিস তদন্ত শুরু করেছে।