ঝাড়গ্রাম : ঝাড়গ্রামের বেলেবেড়ার প্রহরাজ রাজবংশ। প্রায় ৪০০ বছর ধরে দেবীর আরাধনা করে আসছে। কিন্তু পুজো মূর্তিতে নয় নবপত্রিকায় হয়।এই পুজো শুরু করেন রাজা নিমাইচাঁদ প্রহরাজ। তিনি এসেছিলেন ওড়িশা থেকে। তিনিই প্রথম পুজোর প্রচলন করেন।যেহেতু রাধাকৃষ্ণ কুল দেবতা তাই তিনি কোনও প্রতিমা তৈরি না করে সমস্ত নিয়ম মেনে পাট কাঠি আর মান পাতা দিয়ে নবপত্রিকা তৈরি করে পুজোর শুরু করেন। সেদিন থেকেই চন্ডীপাঠও শুরু হয়। কিন্তু বর্তমানে কিছু কারণবশত নিয়মের পরিবর্তন হয়ে ষষ্ঠীর রাত থেকে শুরু হয় মায়ের পুজো।
আরও পড়ুন : কলকাতার পুজোয় কি আসতে পারে দক্ষিণী সুপারস্টার?
ষষ্ঠীর রাতে মানপাতা আর পাটকাঠি দিয়ে তৈরি করা হয় নবপত্রিকা। জানান বেলেবেড়া রাজ পরিবারের সদস্য বিশ্বজিৎ দাসমহাপাত্র। বিশ্বজিৎবাবু বলেন, ‘আগে পুজোর ক’টা দিন বেশ জাঁকজমক থাকত। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হত। দু-তিনশো লোক বসে খাওয়া দাওয়া করতেন। রাজ পরিবারের পুজোর জৌলুসই আলাদা ছিল।
এখন সেই জৌলুস নেই। লোকজনও কম আসেন। তবে আগের সেই চমক না থাকলেও ত্রুটি নেই মায়ের পুজোর । পুরনো দিনের সেই নিয়ম মেনেই মায়ের আরাধনা হয়ে আসছে প্রহরাজ পরিবারে। নিয়ম করে দেওয়া হয় মায়ের ভোগ। ভোগে থাকে সকালে ডাবের জল, লুচি মিষ্টি। দুপুরে অন্নভোগ, দইয়ের শরবত। রাতে অন্ন ভোগ, ডাবের জল ,পান ইত্যাদি।এই রাজ পরিবারের পুজো ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে রয়েছে উন্মাদনা।