মধুসূদন ভট্টাচাৰ্য, চন্দ্রকোনা: ভয়াবহ ভাঙনের কবলে শিলাবতী নদী বাঁধ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশেডাল গ্রামে। নদী ভাঙন আতঙ্কে কেশেডাল গ্রামের বাসিন্দারা। বেশ কয়েকবছর ধরে একটু একটু করে শিলাবতী নদীর বাঁধ ভেঙে বাড়ির দোরগোড়ায়। নদী ভাঙনের জেরে গ্রামের যাতায়াতের রাস্তার একাংশ নদী গর্ভে চলে গেছে।
নদী পাড়ে থাকা একাধিক ছোট বড়ো পাকা কাঁচা বসত বাড়ি নদীর তীরে এসে দাঁড়িয়ে। দ্রুত নদী ভাঙন ঠেকাতে না পারলে নদী গর্ভে চলে যাবে সেইসমস্ত বসতবাড়ি দাবি বাসিন্দাদের। কেশেডাল গ্রামের ভয়াবহ নদী ভাঙনের খবর সম্প্রচার হতেই স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধানকে সঙ্গে নিয়ে ভাঙন পরিদর্শন করেন ব্লকের বিডিও।
চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের বিডিও উৎপল পাইক ভগবন্তপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দয়াল লোহার ও উপপ্রধান মনাজুর মোল্লাকে সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার কেশেডাল গ্রামের শিলাবতী নদীর ভাঙন পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন:শীত পড়ার আগেই টানা বৃষ্টির সম্ভবনা, জানুন আবহাওয়ার আপডেট
গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে নদী পাড় ঘুরে দেখেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেন। গ্রামবাসীদের তরফে বিডিওর কাছে দ্রুত এই ভাঙন পরিস্থিতি ঠেকানোর জন্য স্থায়ী বাঁধ মেরামতের দাবি জানানো হয়।
এবিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মনাজুর মোল্লা জানান, “বিডিও সাহেব গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে কেশেডাল গ্রামের নদী ভাঙন পরিদর্শন করেন। এর আগেও একাধিক বার গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসন নদী ভাঙন পরিদর্শন করেছে। সেচ দফতরের আধিকারিকরাও পরিস্থিতি দেখে গিয়েছেন বন্যার পর। যাতে দ্রুত নদী বাঁধ মেরামত হয় সবরকম পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করেছেন বিডিও সাহেব।”
প্রসঙ্গত,কেশেডাল গ্রামের নদী ভাঙন নতুন কোনও ঘটনা নয়। দীর্ঘ কয়েক বছরের সমস্যা, ২০২১ সালের বন্যায় তা ভয়াবহ আকার নেয়। রাত জেগে বাঁধ পাহারা দিতে হয়েছে গ্রামবাসীদের। সে সময় প্রায় কোটি টাকা ব্যায়ে বাঁধ মেরামত করা হলেও তা টেকেনি।
চলতি বছরে দু-দুবার বন্যা প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে ফের নদীর জল বেড়ে বন্যার পাশাপাশি কেশেডাল গ্রামে নদী ভাঙন আরও ভয়াবহ রুপ নেয়।
এই ভাঙন পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কে গ্রামের বাসিন্দারা, দ্রুত স্থায়ী কংক্রিট বাঁধ মেরামতের দাবি এলাকাবাসীর। বিডিওর পরিদর্শন ও আশ্বাসের পর ভাঙন ঠেকাতে কাজ কবে শুরু হয় সেদিকেই তাকিয়ে বাসিন্দারা।
দেখুন অন্য খবর: