সুন্দরবন: দুর্গা পুজো শেষে ভোটের ঢাকে কাঠি পড়ল গোসাবায়৷ আগামী ৩০ অক্টোবর গোসাবা বিধানসভায় উপনির্বাচন। কড়া নিরাপত্তার বলয়ে উপনির্বাচন সারতে চায় নির্বাচন কমিশন৷ একাদশীর দিন বিকেলেই গোসাবায় এসে পৌঁছালো ৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। গদ খালি ও চুনাখালী এলাকায় রাখা হয়েছে ২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ ৩ কোম্পানি বাহিনী রাখা হয়েছে গোসাবা রাঙাবেলিয়া এলাকায়৷ বাকি ২ কোম্পানি সুন্দরবন কোস্টাল থানা এলাকায় পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাঁচ রাজ্যে ভোটের আগে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে জনজাগরণ অভিযানে নামবে কংগ্রেস
পুজো শেষে সরগরম গোসাবা৷ শনিবার কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে গোসাবা বাজার ও রাঙাবেলিয়া এলাকায় রুট মার্চ করেন ক্যানিং মহকুমার পুলিশ আধিকারিক। ইতিমধ্যেই ভোট-প্রচার শুরু হয়েছে গোসাবায়৷ একদা বামেদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত গোসাবায় তৃণমূল ও বিজেপির জোর প্রচার শুরু হয়েছে৷ বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন এলাকার দাপুটে নেতা জয়ন্ত নস্কর৷ কিন্তু নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন৷ মৃত্যু হয় তাঁর৷ যার ফলে এবার উপনির্বাচনের মুখোমুখি হচ্ছে গোসাবা৷

আরও পড়ুন: কার্শিয়াং থেকে গয়াবাড়ি, যাত্রা শুরু নয়া টয় ট্রেনের
আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যের বকেয়া চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন৷ ভোট হবে কোচবিহারের দিনহাটা, নদিয়ার শান্তিপুর, উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায়৷ চার কেন্দ্রের মধ্যে বেশিরভাগই স্পর্শকাতর৷ তাই এই উপনির্বাচন নিয়ে আরও সতর্ক কমিশন৷ নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলতে আজ থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে রাজ্যে৷