নদিয়া : কলকাতা টিভি ডিজিটালের খবরের জের। রেশন তালিকায় ‘মৃত’ বলে ঘোষিত মা ও ছেলে রাতারাতি জীবিত হয়ে উঠলেন। খবর পেয়েই নড়েচড়ে বসল খাদ্য দফতর। নতুন করে জীবিত হিসেবে ‘রেশনের খাতায়’ নাম ফিরে পেলেন তাঁরা। সম্প্রতি রেশন তুলতে গিয়ে ওই পরিবারের মা ও ছেলেকে জানানো হয়, দোকানের তালিকায় তাঁরা ‘মৃত’। এই ঘটনা নিয়ে কলকাতা টিভি ডিজিটালে ছবিসহ খবর প্রকাশিত হয়। সূত্রের খবর, তারপরেই টনক নড়ে প্রশাসনের। তালিকা সংশোধন করে তাঁদের জীবিত বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
বেশ কয়েকমাস আগে ডিলারের থেকে রেশন আনতে গিয়েছিলেন প্রৌঢ়া। সেখানে ডিলার তাঁকে যা বললেন, সেটা শুনে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়ার প্রফুল্ল নগর এলাকার বাসিন্দা রঞ্জিতা সরকার।
রেশন আনতে গিয়ে জানতে পারলেন, তাঁর এবং তাঁর ছেলে কৌশিক সরকারের ‘মৃত’। এখানেই শেষ নয়, নিজেদের জীবিত প্রমাণ করতে খাদ্য দফতর থেকে শুরু করে ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক সব জায়গাতেই চিঠি দিয়েছেন তিনি। তাতেও কোনও লাভ হয়নি। কারণ কাগজে কলমে এখনও তাঁরা দুজন মৃত।
নদিয়ার প্রফুল্ল নগর এলাকার বাসিন্দা কৌশিক সরকার এবং তাঁর মা রঞ্জিতা সরকার। এক মাস আগে তাঁরা রেশন আনতে ডিলারের কাছে যান। কিন্তু ডিলারের তরফ থেকে বলে দেওয়া হয় তথ্য অনুযায়ী, তাঁরা দুজনেই মৃত। এরপরই হতবাক হয়ে পড়েন মা-ছেলে। জীবিত থাকতেও কীভাবে তাঁরা মৃত হয়ে গেলেন, বুঝে উঠতে পারছেন না।
আরও পড়ুন- সিঙ্গুরে বিজেপির ধরনায় ডাক পেলেন না ‘মাস্টারমশাই’
এরপরে নিজেদের জীবিত প্রমাণ করতে খাদ্য দফতর থেকে শুরু করে ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে লিখিতভাবে বিষয়টি জানান। কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেল, এখনও তাঁরা নিজেদের জীবিত প্রমাণ করতে পারেননি। তাঁদের দাবি, প্রশাসনের চোখে তাঁরা মৃত হওয়ার কারণে রেশনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রেও অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের। এরপরেই এই খবর প্রকাশিত হয় কলকাতা টিভি ডিজিটালে। কয়েক ঘন্টা পরেই পুনরায় তালিকা সংশোধন করে তাঁদের জীবিত বলে ঘোষণা করা হয়।