স্বরূপনগর: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বসিরহাটের স্বরূপনগর (Swarupnagar) পঞ্চায়েত সমিতির (Panchayat Samiti) মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ অনসূয়া মণ্ডলের (Ansuya Mandal) বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দলেরই কয়েকশো কর্মী সমর্থক বৃহস্পতিবার মিছিল করলেন। মিছিলের নেতৃত্ব দেন পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য কারিগারি দফতরের কর্মাধ্যক্ষ দুলাল ভট্টাচার্য, স্থানীয় তৃণমূল নেতা আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। পরে বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল নেতা-কর্মীরা বিডিওর হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন।
সরকারি মাছের পোনা ও চুন বিলিবন্টণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অনিয়মের অভিযোগ তুলছে তৃণমূলের (TMC) একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত সমিতির (Panchayat Samiti) মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ অনসূয়া মণ্ডল ও তাঁর স্বামী কিঙ্কর মণ্ডল সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে সরকারি খাতায় উপভোক্তাদের নাম থাকা সত্ত্বেও তাঁদের বাদ দিয়ে নিজের লোককে মাছের চারা পাইয়ে দিচ্ছেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার যাঁদের ঘর পাওয়ার কথা তাঁরা পাচ্ছেন না। এর পিছনেও মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ এবং তাঁর স্বামীর হাত রয়েছে বলে বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে এই কাজের সঙ্গে যুক্তদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। প্রকৃত উপভোক্তা যাতে বঞ্চিত না হয় তার ব্যবস্থা বিডিওকে করতে হবে। এই দাবিতে স্বরূপনগর ও হাকিমপুর সীমান্ত রোডে তৃণমূলের দলীয় পতাকা, ফেস্টুন, ব্যানার সমেত বাইক মিছিল করে বিডিওকে ডেপুটেশন দেন তৃণমূল কর্মীরা। এর আগেও মৎস্য কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মাছের পোনা বিলি নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে সরব হয়েছিল দলেরই একাংশ। কদিন আগেই তাঁকে ঘেরাও করে বিক্ষোভও দেখানো হয়। অনসূয়া অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
আরও পড়ুন:DA Strike | রাজ্যের সরকারি অফিসগুলিতে কর্মবিরতি পালন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের
বিডিও অজয় কুমার দণ্ডপাট বলেন, স্মারকলিপি পেয়েছি। অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বরূপনগর, বনগাঁ প্রভৃতি এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় নেতৃত্ব এই কোন্দল না মেটালে ফল খারাপ হবে বলে শাসকদলের অনেক নেতাই মনে করেন। তৃণমূলের এক প্রবীণ নেতা বলেন, এমনিতেই নিয়োগ দুর্নীতিতে দলের মুখ পুড়েছে। তার উপর এখনও যদি এলাকায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য সবাই ঝাঁপিয়ে না পড়ে তাহলে পরিণতি হবে ভয়াবহ। জেলার প্রবীণ নেতা তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন স্বরূপনগরের ঘটনা আমার কানে এসেছে। স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলব।