বহরমপুর: ডোমকলের (Domkol) সারাংপুরের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বাসির মোল্লার কোমরে গোঁজাছিল আগ্নেয়াস্ত্র। বাইরে থেকে তা দেখা যাচ্ছিল। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। তবে তাকে হেফাজতে চাইল না পুলিশ। তার জেল হেফাজত (Jail Custody) হয়েছে। এদিন তার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। তিনি প্রশ্ন তুললেন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। অধীর চৌধুরী দাবি করলেন, ডোমকলে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে একটা মাত্র কেস রুজু করা হয়েছে। অথচ ওই হামলা থেকে বাঁচার জন্য যারা পালাচ্ছিল তাদের ৫২ জনের নামে মামলা করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ১২-১৩ জন কংগ্রেস প্রার্থী বলে দাবি করলেন অধীর চৌধুরী। রবিবার বহরমপুর কংগ্রেস কার্যালয়ে অধীর বলেন, ওই প্রাণভয়ে ভীত লোকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দেওয়া হয়েছে। ডোমকল শান্ত হবে না। কংগ্রেসের দোষ থাকলে তাদের গ্রেফতার করুন , কিন্ত তৃণমূল নেতাকে থানায় নিয়ে গিয়ে আদর করছে পুলিশ।
এদিকে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রতনপুরে দলীয় কর্মী খুনের ঘটনায় রবিবার প্রতিবাদ মিছিল করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এদিন সকালে রতনপুর গ্রামে নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখাও করেন অধীর। সকাল এগারোটা থেকে সমর্থকদের নিয়ে নগর ব্লক অফিস মোড় থেকে প্রতিবাদ মিছিল হয় কংগ্রেসের। কংগ্রেস কর্মী খুনের ঘটনায় রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করে সরব হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
আরও পড়ুন: Birbhum | TMC | অনুব্রতহীন বীরভূমে বড় ভাঙন, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ পঞ্চায়েত প্রধান সহ ৩০০ কর্মীর
অধীর চৌধুরি প্রশ্ন তোলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে যদি ভোট লুঠ করে করতেই হত, তবে কেন নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হল? পরিযায়ী শ্রমিক তথা কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখকে খুন করার অভিযোগে তৃণমূল কংগ্রেসকে দুষলেন তিনি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ, নিহতের পরিবারকে হেনস্তা করা হচ্ছে। এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছে। গবাদি পশুদেরও লেজ কেটে নেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের নামে কেন গরিবদের হত্যা করা হচ্ছে, তাও জানতে চান অধীর। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিন (শুক্রবার)মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থানার রতনপুরের কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের তির প্রথম থেকে ছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, ফুলচাঁদ কেরলে কাজ করতেন। সম্প্রতি তিনি বাড়ি ফিরেছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে কয়েকজনের সঙ্গে দাঁড়িয়ে কতা বলছিলেন। সেই সময় কয়েকজন বাইক আরোহী এসে ফুলচাঁদকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।