বেঁচে থাকলে আজ মহানায়িকার বয়স হত ৯১ বছর। সুচিত্রা সেনকেই যথার্থ বলা হত বাংলার ‘গ্রেটা গার্বো’। জীবনের শেষ পর্ব তিনি কাটিয়েছেন অন্তরালে। বহু বছর তিনি প্রকাশ্যে আসেননি। বিভিন্ন বছরে সুচিত্রা কন্যা মুনমুন, নাতনি রিয়া-রাইমা মহানায়িকার জন্মদিনে স্মৃতি রোমন্থন করেছেন। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি চির বিদায় নিয়েছিলেন এই মহান অভিনেত্রী। তাঁর জন্ম দিনগুলো তাঁর কাছের মানুষরা এই বিশেষ দিনে নিজের মতন করে স্মরণ করেছেন। এই জন্মদিনে অনেক পুরনো কথা মনে পড়ে যাচ্ছে সুচিত্রা সেনের বোনঝি লগ্না ধরের। তাঁর কথায়, তিনি ও তার পরিবার কোনদিনও কাউকে বলেননি যে মহানায়িকা তাঁদের মাসি। যদিও বোনঝির দাবি তাঁর এবং তাঁর দিদির সঙ্গে মাসি-সুচিত্রার অনেক মিল আছে। অনেকের কাছে সেটা কমপ্লিমেন্ট পেয়েছেন। ‘মাসি সুচিত্রা যথেষ্ট রাগি মানুষ ছিলেন। আমাদের সঙ্গে যথেষ্ট ভালো সম্পর্ক ছিল। একসময় মাসির বাড়িতে লক্ষ্মীপূজো,কালীপূজো হত। উনি নিজে ঠাকুরকে সাজাতেন, পুজোর আয়োজন করতেন। কিন্তু সিনেমা নিয়ে কখনো আমাদের আলোচনা করত না। মাসি আমাদের সঙ্গে সেসব আলোচনা পছন্দ করতেন না। উনি নিজের হাতে আমাদের রান্না করে খাওয়াতেন।
মাসিকে আমরা সব সময় খুব সুন্দর দেখেছি। এমনকি সাদা ছিল উনি অত্যন্ত সুন্দরী ছিলেন। দারুন গ্রেসফুল।’ অন্তরালে চলে যাওয়ার ব্যাপারে বোনঝি লগ্না সুচিত্রা সেনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এটা সম্পূর্ণ তাঁর নিজের সিদ্ধান্ত। সাধারণত তারকার মধ্যগগনে থাকাকালীন এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। কিন্তু সুচিত্রা মাসি তা পেরেছিলেন। মানুষ সেই জন্যই বোধহয় চিরকাল তাঁকে মনে রাখবে। সুচিত্রা সেনের পছন্দের অভিনেত্রী ছিলেন হেমা মালিনী। যদিও এ ব্যাপারে মাসি খুব বেশি কথা বলতেন না। পরবর্তীকালে তাঁর কানে আসতো যে মহানায়িকার চেহারা এবং হাসির সঙ্গে বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতের তুলনা করা হচ্ছে। সে সম্পর্কে বোনঝি লগ্না জানিয়েছেন,…’ যে সেকথা মাসি সুচিত্রা সেন জানতেন। আসলে তিনি নিজেও মাধুরীর সঙ্গে মিল খুঁজে পেয়েছিলেন। উনি বলতেন ওঁকে আমি দেখেছি। ওর হাসিটাও যথেষ্ট আকর্ষণীয়। আমার বেশ ভালো লাগে’।