কাবুল: বুধবার প্রথমবারের মত জনসম্মুখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল তালিবান সরকার। গত বছর দ্বিতীয়বারের জন্য আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার তালিবানের জনসম্মুখে এটাই প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা বলে জানা যাচ্ছে। তালিবানের এক মুখপাত্র জানান, মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ব্যক্তির নাম তাজমির। যিনি পাঁচ বছর আগে এক ব্যক্তিকে ছুরি দিয়ে খুন করে। বুধবার দক্ষিণ-পশ্চিমের ফারাহ প্রদেশের একটি স্টেডিয়ামে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তালিবানের বেশ কয়েকজন নেতাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। যার মধ্যে তালিবান সরকারের কয়েকজন শীর্ষ মন্ত্রীও ছিলেন।
নভেম্বর মাসে তালিবানের উচ্চস্তরের এক ধর্মীয় নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা একটি ফরমান জারি করে বিচারকদের জনসম্মুখে মৃত্যুদণ্ড, জনসম্মুখে অঙ্গহানী এবং পাথর মারার মত শাস্তি প্রদাণের নির্দেশ দেন। তবে ঠিক কী কী অপরাধের জন্য এইসব শাস্তি দেওয়া হবে তা জানানো হয়নি।
আরো পড়ুন:Naoda: নওদা তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার আরও ১
১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতার প্রথম মেয়াদে তালিবান জনসম্মুখে এ ধরণের শাস্তি কার্যকর করেছিল। তবে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতা দখলের তালিবান সরকার জানান, যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে তাদের শাসন ব্যবস্থায় আধুনিকীকরণ করবে এবং এ ধরনের শাস্তি থেকে বিরত থাকবে। তবে এই প্রতিশ্রুতি থেকে সরে গিয়ে ফের আগের শাসনব্যাবস্থায় ফিরে আসল তালিবান প্রশাসন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া তাজমির হেরাত প্রদেশের বাসিন্দা গুলাম সারওয়ারের পুত্র। তালেবানের তিনটি আদালত তাকে দোষীসাব্যস্ত করে। তাজমিরের এই মৃত্যুদণ্ড জনগণকে একটি নোটিশ জারি করে নাগরিকদের দেখতে স্টেডিয়ামে যেতে বলা হয়।