কলকাতা: গত ৪ জুন পাকিস্তান পঞ্জাব প্রদেশের ঝ্যাং জেলায় ভেঙে পড়ে পাক বায়ুসেনার জেএফ-১৭ থান্ডার ব্লক ২ (JF-17 Thunder Block 2) যুদ্ধবিমান। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়, বহু ভিডিও প্রকাশ্যে আসে, কিন্তু ইসলামাবাদ (Islamabad) এ নিয়ে এখনও স্পিকটি নট। পাকিস্তান বায়ুসেনা (Pakistan Air Force) এবং সে দেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমও এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে। কিন্তু ঘটনা খোলসা হয়ে পড়ল সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত উৎস থেকে। ফলে চাপে পড়েছে ইসলামাবাদ।
ভেঙে পড়া বিমানের ইজেকশন সিট নির্মাণকারী সংস্থা মার্টিন-বেকার (Martin-Baker) ১১ জুন টুইট করে জেট বিমান ভেঙে পড়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। টুইটে বলা হয়েছে, বুধবার, ৫ জুন পাক বায়ুসেনার জেএফ-১৭ থান্ডার ব্লক ২ বিমান ঝ্যাং জেলার কাছে ভেঙে পড়েছে। পাইলট সফলভাবে মার্টিন-বেকার পিকে১৬এলই আসন খুলে বেরিয়ে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কৃত্রিম মঙ্গলগ্রহে ৩৭৮ দিন কাটিয়ে এলেন চারজন!
জেএফ-১৭ থান্ডার এক ইঞ্জিনের, হালকা ওজনের, নানা ভূমিকার যুদ্ধবিমান। পাক বায়ুসেনার ‘ওয়ার্কহর্স’ হিসেবে পরিচিত এই বিমানটি যৌথভাবে তৈরি করে পাকিস্তান এরোনটিক্যাল কমপ্লেক্স এবং চীনের চেংডু এয়ারক্রাফট ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশন। বিমানটির ৫৮ শতাংশের নির্মাণ হয় পাকিস্তানে এবং ৪২ শতাংশ চীনে। পাক বায়ুসেনার কাছে এমন ১৫০টি বিমান আছে, তবে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, তার বেশি খানিকটা অংশ সেনাঘাঁটিতেই পড়ে আছে, সেগুলি ওড়ানো হয় না।
এভিয়েশন সেফটি নেটওয়ার্কের রিপোর্ট বলছে, ১৩ বছরে এই নিয়ে পাঁচটি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় পড়ল। অন্যদিকে এর সমকক্ষ ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফট যুদ্ধবিমান তেজস (Tejas) গত আট বছরে মাত্র একবারই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। জেফ-১৭ থান্ডারের এই দুরবস্থার কারণ রক্ষণাবেক্ষণের অভাব এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত ত্রুটি বলে মনে করা হচ্ছে।
দেখুন অন্য খবর: