ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের জমিকে ব্যবহার করে তালিবানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চেয়েছিল আমেরিকা৷ সেটা হতে দেননি পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Pakistan PM Imran Khan)৷ যে কারণে বিরোধীদের প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে৷ দমে যাওয়ার পাত্র নন ইমরানও৷ বিরোধী দল ও পাকসেনাকে একহাত নিয়ে খোলাখুলি ভারতের বিদেশনীতির প্রশংসা করেছেন তিনি (Imran Khan praises India’s Foreign Policy)৷ জানিয়েছেন, প্রতিবেশী ভারতকে অভিনন্দন জানাব৷ তারা সবসময় স্বাধীন বিদেশনীতি বজায় রেখে কাজ করে৷
রবিবার খাইবার পাখতুনখোয়ার একটি জনসভায় পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানের বিদেশনীতি এমন হওয়া উচিত যা দেশের মানুষের জন্য হিতকর হবে৷ আজ আমি প্রতিবেশী ভারতকে অভিনন্দন জানাব৷ বিদেশনীতির ক্ষেত্রে তারা সবসময় স্বতন্ত্রতা ও স্বাধীনতা বজায় রেখে চলে৷ কোয়াডে আমেরিকার সঙ্গে মৈত্রতা বজায় রেখেছে একইসঙ্গে রাশিয়ার থেকেও কাঁচা তেল কিনছে৷’ ইমরান চান, ভারতের মতো পাকিস্তানও তাদের বিদেশনীতিতে সাবলম্বী হয়ে উঠুক৷ যে কারণে দু’দশক পর প্রথম পাক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি মস্কো সফরে যান৷ যে দিন তিনি রাশিয়ায় ছিলেন সেদিনই প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে হামলা করে রুশ সেনা৷ ইমরানও রাশিয়ার বিরোধিতায় কোনও মন্তব্য করেননি৷ যা অবাক করে গোটা দুনিয়াকেও৷
তবে এজন্য ঘরে-বাইরে প্রবল সমালোচনাও হজম করতে হয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রীকে৷ ইমরান বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছিল পাকিস্তান তাদের বায়ুসেনা ঘাঁটি আমেরিকাকে ব্যবহার করতে দেবে কিনা? আমি গত ২৫ বছরে কারও কাছে মাথা নোয়াইনি এবং মাথা নোয়াব না৷’ দেশবাসীকে তিনি আফগানিস্তান যুদ্ধের কথাও মনে করিয়ে দেন৷ জেনারেল পারভেজ মোশারফের জমানায় আফগানিস্তান যুদ্ধে পাকিস্তানের ৮০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল৷ তাই নাম না করে আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ইমরান বলেন, ‘আমরা শান্তির জন্য আপনাদের পাশে থাকব৷ কিন্তু যুদ্ধের সময় নয়৷’