ওয়েব ডেস্ক: পানামা খালের (Panama Canal) উপর নিজেদের কর্তৃত্ব নিয়ে ফের সরব আমেরিকা (USA)। চীনের (China) প্রভাব কমিয়ে পানামা খালের উপর দখলদারির ইঙ্গিত মিলল পেন্টাগনের তরফে। সম্প্রতি, মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ পানামা সফর করেন। তারপর থেকেই কূটনৈতিক মঞ্চে চর্চায় এসেছে পানামা খালের বিষয়টি।
পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনোর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে বসেন হেগসেথ। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে চীনের বিনিয়োগ এবং প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। তারপরই তিনি ঘোষণা করেন, “আমরা পানামা ও আমেরিকা মিলে চীনের প্রভাব থেকে পানামা খালকে মুক্ত করব।” একইসঙ্গে আমেরিকা এবং পানামা সেনার মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও জোরদার করার কথাও বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিজ্ঞানের বিষ্ময়! ১২ হাজার বছর পর পৃথিবীতে ফিরল সাদা নেকড়ে
পেন্টাগনের দাবি, চীন পানামা খাল তৈরি করেনি, পরিচালনাও করে না, অথচ তারা এই খালকে একটি কৌশলগত অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পের মাধ্যমেই এই প্রভাব বিস্তারের চেষ্টায় যুক্ত হয়েছে বেজিং। এই বিষয়টি নিয়ে এবার সরব হয়েছে ওয়াশিংটন।
প্রসঙ্গত, ১৯০৪ সালে আমেরিকার উদ্যোগেই পানামা খালের খনন শুরু হয়। তারপর থেকে দীর্ঘ সময় ধরে আমেরিকার হাতেই ছিল এই জলপথের নিয়ন্ত্রণ। তবে ১৯৭৭ সালে প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের আমলে স্বাক্ষরিত এক চুক্তির ভিত্তিতে ১৯৯৯ সালে পানামার হাতে খালের দায়িত্ব তুলে দেয় আমেরিকা। তবে ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন পানামা খালে চীনের প্রভাব নিয়ে ফের চড়া সুরে কথা বলা শুরু করেন ট্রাম্প। এবার এই বিষয়টি নিয়ে সরাসরি মুখ খুলল ওয়াশিংটন।
দেখুন আরও খবর: