ওয়েব ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) অস্থিরতা বাড়ছে। মহম্মদ ইউনুসের (Md Yunus) অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। সম্প্রতি এই নিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে ঢাকাতেই। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) ভারতে পালিয়ে আসার পর থেকে সে দেশে সংখ্যালঘু (Minorty) হিন্দুদের উপর নির্যাতন বেড়েছে। এই নিয়ে আগেও সতর্ক করেছে ভারত। ফের ইউনুস প্রশাসনকে সতর্কবার্তা ভারতের। শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বললেন, ‘বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে হবে সে-দেশের সরকারকেই’।
হাসিনা গত ৫ অগাস্ট ভারতে আসার পর থেকে বাংলাদেশে তাঁর দল আওয়ামি লিগের ছন্নছাড়া অবস্থা। বেশিরভাগ নেতা-নেত্রীকে আইনের জালে ফাঁসানো হয়েছে। সম্প্রতি হাসিনা অনলাইনে বার্তা দেওযার পরে নতুন করে উজ্জীবিত তাঁদর দলের কর্মীরা। হাসিনার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল বিএনপিও আওয়ামি লিগের প্রতি সুর নরম করেছে। এই প্রেক্ষিতে আওয়ামি লিগকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে আটকাতে মরিয়া সরকার ঘনিষ্ঠদের অনেকেই। ইতিমধ্যে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের তরফে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করা হয়েছে। তাদের তরফে আওয়ামি লিগকে নির্বাচনে লড়তে না দেওয়ার ঘোষণাও করা হয়েছে। আওয়ামি লিগ-কে বাদ দিয়ে বা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সে দেশে নির্বাচন করার ভাবনাকেও নস্যাৎ করল ভারত। রণধীর জওসোয়াল স্পষ্টই বললেন, সবাইকে নিয়েই ভোটে যাওয়া হোক। প্রসঙ্গত বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানও একই কথা বলেছিলেন। ভারতের এহেন অবস্থানে চাপ বাড়ল ইউনুস প্রশাসনের উপর। এবছরের শেষে কিংবা আগামী বছরের গোড়ায় ভোট হতে পারে বাংলাদেশে। এমনকী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ইউনুস।
আরও পড়ুন: ইরানকে চিঠি, পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী ট্রাম্প
দেখুন অন্য খবর: