ওয়েব ডেস্ক: ‘অল আয়েজ নাও অন দ্য গাজা’। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক গাজার (Gaza) বধ্যভূমি থেকে এই কথা বলে ধ্বংসস্তূপের ভিডিয়ো দেখাচ্ছিলেন। ভারতীয় সময় শনিবার বিকেলের ঘটনা। অপেক্ষা শুধু রাত পোহানোর। ১৫ মাস ধরে গাজাকে মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত করা ইজরায়েলের (Israel) সেনাবাহিনী (Army) কি তবে রবিবারই ফিরে যাবে? ভারতীয় সময় রবিবার দুপুর ১২টা থেকে ইজরায়েল-হামাসের এই যুদ্ধবিরতি (Ceasfire) শুরু হওয়ার কথা। তাতেই আশায় বুক বাঁধছেন গাজাবাসী। গৃহহীন হওয়া অনেকে ধ্বংসস্তূপে নিজের বাড়ি খুঁজতে ছুটবেন বলে কান্নাভেজা কণ্ঠে জানিয়েছেন। কেউ হারিয়েছেন সন্তানকে, কেউ মা-বাবাকে। সব হারিয়েও সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে ফিনিক্স পাখির মতো যুদ্ধের আগুন থেকে বাঁচার আশা করছেন গাজাবাসী। এই যুদ্ধবিরতির মূল মধ্যস্থতাকারী কাতার, মিশর ও আমেরিকা। প্রথম দিনেই ইজরায়েলের সেনা কী করে সেদিকেই নজর সারা দুনিয়ার।
এই যুদ্ধ বিরতি নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছিল। শনিবার ইজরায়েলের সরকার এই বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। হামাসও জানিয়েছে, গাজায় বন্দি ইজরায়েলের ৩৩ জনকে ছাড়া হবে। তার মধ্যে দুজন ইজরায়েল-আমেরিকানও রয়েছেন। বদলে ১৯০৪ জন প্যালেস্তাইনের বন্দিকে জেল থেকে ছাড়বে ইজরায়েল। এই যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা হয় বুধবার। তারপর তা নিয়ে টালবাহানা চলছিল। তারপরেও ইতিমধ্যে ইজরায়েলের হানায় গাজায় ১২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই যুদ্ধে সব মিলিয়ে গাজায় মৃত্যু হয়েছে ৪৬ হাজার ৮৯৯ জনের।
আরও পড়ুন: ভারতে কেন পালিয়ে আসতে হয়েছিল? মুখ খুললেন শেখ হাসিনা
কাতারের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রবিবার ভারতীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে এই যুদ্ধ বিরতি শুরু হচ্ছে। এদিকে যুদ্ধবিরতি উপলক্ষে হিজবুল্লাহর মহাসচিব প্যালেস্তাইনের নাগরকিদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ৪৬০ দিনের যুদ্ধের পর এই যুদ্ধ বিরতি হতে চলেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইজরায়েলে হামলা চালিয়েছিল। তারপর ইজরায়েল নির্বিচারে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে গাজায়। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল সারা বিশ্ব। রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুতারেসও বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইজরায়েলের হামলায় গাজায় গৃহহীন বহু মানুষ। ইজরায়েল সেনা সরাতে রাজি হয়েছে।
দেখুন অন্য খবর: