কলকাতা: স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) নজরে ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighat Kaku)। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে তলবি নোটিস পাঠায় সিবিআই। সেই মতো বুধবার সকাল ১১টার আগেই নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে পৌঁছে যান তিনি। এদিন সুজয়ের সঙ্গে ছিলেন তাঁর দুই আইনজীবী।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজ সংগঠনের সভাপতি তাপস মণ্ডলের মুখে প্রথম শোনা গিয়েছিল কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নাম। তাপস দাবি করেছিলেন, কুন্তল ঘোষের মুখে তিনি কালীঘাটের কাকুর কথা শুনেছিলেন। তবে প্রথমবার গোপাল দলপতিই সুজয়ের নাম করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, কুন্তল ঘোষ বারবার কালীঘাটের কাকুর কাছে টাকা পাঠানোর কথা বলতেন।
আরও পড়ুন: Nabanna | মুখ্যমন্ত্রী দুপুর সাড়ে ১২ টায় নবান্নে পৌঁছে দেখলেন ৭৫ শতাংশ কর্মীর চেয়ার ফাঁকা
এর আগে নারদ-কাণ্ডেও সুজয়ের নাম উঠে এসেছিল। ম্যাথু স্যামুয়েলের স্টিং অপারেশনেও এক তৃণমূল নেতার মুখে সুজয়ের নাম উঠে এসেছিল। ওই তৃণমূল নেতাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, অভিষেকের সঙ্গে দেখা করতে হলে সুজয় ভদ্রের সাহায্য বাধ্যতামূলক। নারদ-কাণ্ডের সিবিআই তদন্তে অবশ্য সুজয়কে একবারও তলব করা হয়নি।
এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের ডাক পেলেন সেই কালীঘা্টের কাকু। তাঁর নাম উঠে আসায় সংবাদমাধ্যাম সুজয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে আমি অনেক দিন ধরে কাজ করছি। অভিষেকই আমার সাহেব। অভিষেকের কাছে যেতে হলে আমার মাধ্যমে যেতে হবে। তবে আ্মার সাহেবকে কেউ ছুঁতে পারবে না। গত কয়েকদিন ধরে সুজয়কৃষ্ণ একাধিক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
এরই মধ্যে শিক্ষা দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয় হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ।সিবিআইয়ের হাতে ধৃত তাপস মণ্ডলের অভিযোগ ছিল, কুন্তল বারবার কালীঘাটের এই কাকুর কাছে টাকা পৌঁছে দেওয়ার কথা বলতেন। যদিও গ্রেফতার হওয়ার পর কুন্তল বেমালুম সে সব কথা অস্বীকার করে গিয়েছেন। এমনকী কালীঘাটের কাকু বলে তিনি কাউকে চেনেন না বলেও কুন্তল গ্রেফতারের পর দাবি করেন। তিনি বলেন, কাকু বলতে শুধু আমি আমার বাবার ভাইকে জানি।
এদিন সুজয়কৃষ্ণকে টানা প্রায় তিন ঘণ্টা নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই আধিকারিকরা। নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তিনি বলেন, আগামী দিনে সিবিআই ডাকলে তদন্তের সহযোগিতা করবো। তবে সুজয়কৃষ্ণ আগে থেকেই বলে আসছেন, তিনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার।রাজনৈতিক কারণেই তাঁর নাম ব্যবহার করা হচ্ছে।