Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeকলকাতাMamata Banerjee | মুর্শিদাবাদে অধীরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, দুই সাংসদকে তোপ মমতার

Mamata Banerjee | মুর্শিদাবাদে অধীরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, দুই সাংসদকে তোপ মমতার

Follow Us :

কলকাতা: মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার দুই সাংসদের বিরুদ্ধে শুক্রবার দলীয় বৈঠকে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন তৃণমূলনেত্রী (TMC) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দলের জেলা সভাপতি খলিলুর রহমান এবং আবু তাহেরকে মমতা বলেন, তোমরা অধীর চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছ। এই সব কিন্তু আমি বরদাস্ত করব না। দলীয় সূত্রের খবর, দুই নেতাই নেত্রীর তোপের মুখে পরে কোনও কথা বাড়াননি। 

তৃণমুলের অন্দরের খবর, এদিনের বৈঠকে মমতার মেজাজ ছিল বেশ চড়া। তিনি নিজে থেকেই সাগরদিঘির প্রসঙ্গ তোলেন। নাম করে খলিলুর এবং আবু তাহেরকে তপ দাগেন। তার পরই দলীয় নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন সাগরদিঘি নিয়ে আমাকে মুখ খোলাবেন না। আমি সুব্রত সাহার ছেলেকেই টিকিট দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওর বিরুদ্ধে একটা মারাত্মক অভিযোগ ছিল। ওই ধরনের অভিযোগ থাকলে আমি টিকিট দিতে পারি না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি এটা বলতে চাইনি, আমাকে বলতে বাধ্য করলেন। 

আরও পড়ুন: Bratya Basu Responsibilities Education | ব্রাত্যর হাতে সমস্ত শিক্ষার ভার দিলেন মমতা 

সাগরদিঘির উপনির্বাচনের ফলাফল তৃণমূল নেত্রী কিছুতেই হজম করতে পারছেন না বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দলের অন্দরেই অভিযোগ উঠেছে, সেখানকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এত ধরনের সামাজিক কল্যাণমূলক প্রকল্প করার পরেও কেন সাগরদিঘিতে হার হল, কেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মুখ ফিরিয়ে নিল, তা খতিয়ে দেখার জন্য মমতা পাঁচ মন্ত্রীকে দিয়ে একটি তদন্ত কমিটিও ঘঠন করেন। সেই কমিটির সব সদস্যই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। 

সূত্রের খবর, ওই কমিটির রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রী হাতে এসেছে।তাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোট যে কমেছে, তা স্বীকার করা হয়েছে। এছাড়া বলা হয়েছে, বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পে সুবিধা এলাকার বহহু মানুষের কাছে পৌঁছয়নি। পাশাপাশি এলাকার উন্নয়ন নিয়েও মানুষের ক্ষোভ ছিল। সর্বোপরি দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এই হারের জন্য দায়ী বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। নেত্রী এদিন বলেন, সুব্রত সাহা তো হিন্দু ছিলেন। তাহলে সাগরদিঘিতে তিনি কী করে জিতলেন? এই প্রেক্ষাপটেই নেত্রী দুই সাংসদের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন। 

সূত্রের খবর, দলের টুইট রিটুইট না করার জন্য নেত্রী এদিন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস,সায়নী ঘোষ, মালা রায়, অতীন ঘোষ, পরেশ পাল, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেন। নেত্রী জানিয়ে দেন, দলের জন্য তিনি এবার থেকে আরও বেশি সময় দবেন। প্রতি শুক্রবার সাংগঠনিক বৈঠক হবে। প্রতি জেলা ধরে ধরে বৈঠক করা হবে। 

দলীয় নেতা-কর্মীদের তিনি এদিন বলেন, সংগঠনকে শক্তিশালী করুন। বুক চিতিয়ে ঘুরে বেড়ান। নদীয়ার সংগঠন কেন দুর্বল হচ্ছে, জানতে চান তিনি। যখন তখন আলটপকা মন্তব্যের জন্য মমতার ধমক খান মদন মিত্র, অখিল গিরি, অসিত মজুমদারের মতো নেতা-মন্ত্রীরা। 

RELATED ARTICLES

Most Popular