কলকাতা: কালীঘাটের কাকুকে(Kalighat Kaku) ফের তলব করল সিবিআই(Cbi)। নোটিসে সোমবার সকাল ১০টায় নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) তাকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। গত বুধবার কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে (Sujaykrishna Vadra) প্রায় ২ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishik Banerjee) অফিসের দীর্ঘদিনের কর্মী সুজয়কৃষ্ণ। বর্তমানে অভিষেকের ক্যামাক স্ট্রিটের (Cammack Street) অফিসের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে সুজয়কৃষ্ণের বাড়িতে গিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা নোটিস দিয়ে আসেন। সুজয়কৃষ্ণের স্ত্রী ও মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সমস্ত নথি আনতে বলা হয়েছে নোটিসে। মূলত কোন কোন অ্যাকাউন্ট থেকে সুজয়ের অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে তা জানতে চায় সিবিআই।
আরও পড়ুন:Jitendra Tiwari | নয়ডায় রাজ্য পুলিশে হাতে গ্রেফতারি বিজেপি নেতা জিতেন্দ্রর
সিবিআইয়ের দাবি, সুজয়ের একাধিক কোম্পানি আছে। সেগুলি অন্যের নামে রেজিষ্ট্রি করা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত তদন্তে এরকম ছয়টি কোম্পনির হদিশ মিলেছে। এই সব কোম্পানিতে কী কী কাজ হয় তা জানতে চান গোয়েন্দারা। এছাড়া নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি গোপাল দলপতি ও কুন্তল ঘোষের সঙ্গে কোনও ব্যবসায়িক যোগ ছিল কি না, কোথায় কোথায় কত টাকা বিনিয়োগ হয়েছে, সে সব জানতেই আগামী সোমবার সুজয়কৃষ্ণকে ত নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গত বুধবার কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়। নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে তিনি জানান, তাঁকে যা জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল সব প্রশ্নের উত্তর তিনি দিয়েছেন। তবে কী প্রশ্ন করা হয়েছিল সে বিষয়ে কিছু জানাননি সুজয়।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাপস মণ্ডলের মুখে প্রথম কালীঘাটের কাকুর নাম শোনা যায়। তিনি সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছিলেন, কুন্তল ঘোষ কালীঘাটের কাকুকে টাকা দিতে হয় বলে একাধিকবার জানিয়েছেন। তাপস একই কথা জানিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকদের কাছেও। কুন্তল গ্রেফতার হওয়ার আগে কালীঘাটের কাকুর প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরই ভোল বদলে ফেলেন কুন্তল। তিনি বলেন, কাকু বলতে আমি আমার বাবার ভাইকেই বুঝি। এছাড়া আমার অন্য কোনও কাকু নেই।
শেয়ার করুন