কলকাতা: গড়িয়াহাট জোড়া খুনের তদন্তে নিহত কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকি এবং তাঁর গাড়ির চালকের মোবাইলের কললিস্ট হাতে পেলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। মঙ্গলবার রাতে সেই লিস্ট এসে পৌঁছেছে লালবাজারে। তাতে দেখা গিয়েছে, খুন হওয়ার আগে কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকি শেষবারের মতো তিন জনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন।
তিনি শেষ বারের মত কথা বলেন নিজের স্ত্রীর সঙ্গেও। এছাড়াও ক্যালকাটা রোয়িং ক্লাবের একজন কর্তা এবং নিজের কর্পোরেট অফিসের এক উচ্চপদস্থ কর্মীর সঙ্গেও কথা বলেছিলেন। এই তথ্য হাতে পাওয়ার পরেই লালবাজারের গোয়েন্দারা সঙ্গে সঙ্গে সুবীরের নিউটাউনের ফ্ল্যাটে গিয়ে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। অসুস্থ স্ত্রীর শারীরিক খবরা-খবর নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-জোড়া খুনে ক্রমেই দানা বাঁধছে রহস্য, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে সুবীর চাকির পরিবারকে
এর পরেই গোয়েন্দারা যান ক্যালকাটা রোয়িং ক্লাব এবং সুবীর চাকির অফিসে। সেখানেই তাঁরা কথা বলেন, দুজন কর্তার সঙ্গে। তাঁদের সঙ্গে ক্লাব এবং অফিস সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা হয়। অর্থাৎ, কললিস্ট ঘেঁটে জোড়া খুনের কোনও কিনারা মঙ্গলবার পর্যন্ত করতে পারেননি গোয়েন্দারা। আর তাতেই মাথায় হাত পড়ে তাঁদের। কারণ, রহস্যজনক এই খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বিন্দুমাত্র সূত্র হাতে এসে পৌঁছয় নি লালবাজারের।
আরও পড়ুন-গড়িয়াহাট জোড়া খুন: আশেপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ শুরু
এ দিন গোয়েন্দা কুকুর নামিয়ে তদন্ত করেও কোনও লাভ হয়নি। লালবাজারের এক উচ্চপদস্থ কর্তা জানান, স্নিফার ডগ গড়িয়াহাটের বাড়ি থেকে বেরিয়ে দৌঁড় লাগিয়েছিল বালিগঞ্জ স্টেশনের দিকে। এই খুনের ঘটনার তদন্তে সেটিও একটি সমস্যার বিষয়। কারণ, যে কোনও ব্যস্ত রেল স্টেশনে যাত্রী সংখ্যা প্রচুর থাকে। তাঁদের মধ্যে অপরাধীদের খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে ওঠে। যদিও বালিগঞ্জ স্টেশনের প্লাটফর্মের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে রহস্যজনক খুনের কিনারা করার চেষ্টা চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।