কলকাতা: পানিহাটি ও ঝালদার জনপ্রতিনিধি (Panihati and Jhalda Coucillor) খুনের ঘটনায় বিজেপির বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিধানসভার অধিবেশন৷ সোমবার বিজেপি বিধায়করা দুই জনপ্রতিনিধি খুনে পুলিসমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন৷ উত্তরবঙ্গের বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ জিরো আওয়ারে বিষয়টি উত্থাপন করেন৷ তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) বিবৃতি চান৷ কেননা স্বরাষ্ট্র দফতর রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে৷ শঙ্কর ঘোষের (BJP MLA Shankar Ghosh) সঙ্গে গলা মেলান অন্যান্য বিধায়করাও৷ এনিয়ে সভার ভিতর হই-হট্টগোল শুরু হয়ে যায়৷ এরপর ‘জবাব চাই জবাব দাও’ স্লোগান দিতে দিতে দুই জনপ্রতিনিধির ছবি গলায় ঝুলিয়ে অধিবেশন থেকে ওয়াক আউট করেন বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা (BJP MLA’s walkout from assembly)৷
রবিবার দুই জনপ্রতিনিধি খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি৷ পুরুলিয়ায় গুলিবিদ্ধ হন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু৷ তার কয়েকঘণ্টা পরই উত্তর ২৪ পরগনায় খুন হন তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত৷ প্রথম ঘটনায় পুলিস মৃত কাউন্সিলরের দাদা, ভাই ও ভাইপোকে আটক করেছে৷ সদ্য শেষ হওয়া পুরসভা ভোটে তপনের ভাইপো দীপক কান্দু ঝালদার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন৷ ভাইপোকে হারিয়ে কাউন্সিলর হন দীর্ঘদিনের নেতা তপন কান্দু৷ এদিকে দলীয় কাউন্সিলরের হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার জেলা জুড়ে ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকে কংগ্রেস৷

অন্যদিকে পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতে তৃণমূল কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন অনুপম দত্ত৷ রবিবার সন্ধেয় বাড়ি থেকে বেরনোর পরই গুলিবিদ্ধ হন তিনি৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারেননি চিকিৎসকরা৷ বেলঘড়িয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি৷ কাউন্সিলর খুনে গ্রেফতার করা হয় শম্ভুনাথ পন্ডিত ওরফে অমিত নামে এক যুবককে৷ শম্ভুনাথই মূল অভিযুক্ত বলে জানায় পুলিস৷ ঘটনার পর পোশাক বদল করে আগরপাড়ার হোগলা বনে লুকিয়ে ছিল৷ কিন্তু স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে যায় সে৷
আরও পড়ুন: Panihati Tmc Councillor: পানিহাটিতে সুপারি কিলার দিয়ে কাউন্সিলরকে খুন ?