ওয়েব ডেস্ক: রাজ্য সরকার ও সিবিআই তাঁর মৃত্যুদণ্ড চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছে। কিন্তু শিয়ালদহ আদালতের নির্দেশ (Sealdah Court Verdict) অনুযায়ী, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের তরুণী পড়ুয়া-চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার (RG Kar Case) দায়ে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের (Sanjay Roy) শাস্তি এখন আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড। এই সাজা অনুযায়ী, সঞ্জয় রায়ের ঠিকানা এখন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কেন্দ্রীয় জেলের (Presidency Jail) ‘পয়লা বাইশ’ ব্লকের ৬ নম্বর সেল। জানা গিয়েছে, তাকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে রাখা হয়েছে। এখন কঠোর পরিশ্রম তাকে দিন কাটাতে হবে। সঞ্জয়ের সেলের পাশেই রয়েছেন স্কুল নিয়োগ দুর্নীতিতে দোষী সাব্যস্ত পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং ২০০২ সালে কলকাতার আমেরিকান সেন্টারে হামলার অপরাধী আফতাব আনসারি ও জামালুদ্দিন নাসের।
কিন্তু জেলের মধ্যে কী কী কাজ করতে হবে সঞ্জয়কে? চলুন সেটা এবার জেনে নেওয়া যাক। প্রেসিডেন্সি জেল প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সঞ্জয় রায়কে প্রতিদিন সেলের ভিতরে হাঁটার এবং ব্যায়াম করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁর চলাফেরা শুধুমাত্র সেল ব্লকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। কারণ এখনও সঞ্জয়কে ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের ফাঁসির আর্জি নিয়ে হাইকোর্টে রাজ্য, বিরোধিতা করল সিবিআই
জেল কর্তৃপক্ষ সঞ্জয়কে কঠোর শ্রমে নিযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেহেতু তার কোনও দক্ষতা বা আধা-দক্ষতার অভিজ্ঞতা নেই, তাকে সাধারণ শ্রমনির্ভর কাজে নিয়োগ করা হবে। এর জন্য দৈনিক মজুরি হিসাবে ১০৫ টাকা দেওয়া হবে। এই অর্থ বন্দিরা জেলের ভিতরে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার জন্য ব্যবহার করতে পারেন এবং মুক্তির পর এটি সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারেন।
জেল সূত্রের খবর, সঞ্জয়কে সম্ভবত বাগান পরিচর্যার কাজে নিযুক্ত করা হবে। প্রথমে তাকে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ শেখানো হবে এবং পরে স্থায়ীভাবে এই কাজে নিয়োগ করা হবে। এছাড়াও প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দিদের দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করানো হয়, যার মধ্যে রয়েছে— বাগান পরিচর্যা, পোশাক তৈরি, আসবাবপত্র তৈরি, মুড়ি ভাজা এবং অ্যালুমিনিয়াম বাসন তৈরি। এই সব কাজের মাধ্যমে অদক্ষ, আধা-দক্ষ এবং দক্ষ বন্দিরা যথাক্রমে ১০৫ টাকা, ১২০ টাকা এবং ১৩৫ টাকা দৈনিক মজুরি পান। উল্লেখ্য, একসময় পেশাদার বক্সার সঞ্জয় রায় ২০১৯ সালে সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। তবে তার অপরাধের জন্য এখন জেলজীবনে কঠোর পরিশ্রমই তার ভাগ্যে রয়েছে।
দেখুন আরও খবর: