নয়াদিল্লি: নীতি আয়োগের (Niti Ayog) বৈঠক বয়কটকারী মুখ্যমন্ত্রীদের (CM) কড়া সমালোচনা করল বিজেপি (BJP)। ওই মুখ্যমন্ত্রীদের সিদ্ধান্তকে দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং জনবিরোধী বলে আখ্যা দিলেন প্রবীণ বিজেপি নেতা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। শনিবারই দিল্লিতে শুরু হয়েছে নীতি আয়োগের পরিচালন পর্ষদের অষ্টম বৈঠক। তার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে এই বৈঠকে দিশা দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য, স্কিল ডেভেলপমেন্ট, নারীর ক্ষমতায়ন, পরিকাঠামো উন্নয়ন-সহ প্রায় একশোটি বিষয়ের উপর আলোচনা হতে চলেছে এই বৈঠকে। সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই এই পর্ষদের সদস্য। প্রধানমন্ত্রী চেয়ারম্যান।
এদিন দিল্লিতেই সাংবাদিক বৈঠকে রবিশঙ্কর বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য রোড ম্যাপ তৈরি করার প্রধান মঞ্চ হল এই নীতি আয়োগ। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে আটটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অংশ নেননি। তাঁদের এই সিদ্ধান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং জনবিরোধী। তাঁরা বৈঠকে নিজ নিজ রাজ্যের সুবিধা অসুবিধা, চাহিদার কথা বলতে পারতেন। রাজ্যের মানুষের স্বার্থের সঙ্গে জড়িত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনার সুযোগ ছিল। কিন্তু তাঁরা বৈঠক বয়কট করে রাজ্যবাসীকেই বঞ্চিত করলেন। বিজেপি নেতা প্রশ্ন তোলেন, কেন তাঁরা এই বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলেন। তিনি বলেন, আমি জানি না, তাঁরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরোধিতায় কত দূর যাবেন। খুবই দুর্ভাগ্যজনক সিদ্ধান্ত তাঁদের। আপনারা প্রধানমন্ত্রীর বিরোধিতা করার অনেক সুযোগ পাবেন ভবিষ্যতে। কিন্তু আপনারা রাজ্যের মানুষের ক্ষতি করছেন কেন।
আরও পড়ুন: হাঁসখালিতে বিজেপি নেতা খুন, তদন্তে জাতীয় এসসি, এসটি কমিশন
প্রসঙ্গত, অবিজেপি আট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতি আয়োগের এই বৈঠক বয়কট করেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল, পঞ্জাবের ভগবন্ত সিং মান, তামিলনাড়ুর এম কে স্ট্যালিন, কেরলের পিনারাই বিজয়ন, তেলঙ্গানার কে সি রাও প্রমুখ।
মমতা এদিন মেদিনীপুরে এগরায় যান বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে। তিনি পরিবারগুলির হাতে আড়াই লক্ষ টাকা করে তুলে দেন। পরিবার পিছু একজনকে চাকরির নিয়োগপত্রও দেন। তাঁরা সোমবার থেকেই হোমগার্ডের চাকরিতে যোগ দেবেন বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান। পরে তিনি যান শালবনিতে জনসংযোগ যাত্রায় যোগ দিতে। মমতার যুক্তি, নীতি আয়োগের বৈঠকে কোনও কাজ হয় না। বাংলার প্রতিনিধিকে সব শেষে বলার সুযোগ দেওয়া হয়। মমতা তাঁর বদলে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কিংবা মুখ্যসচিবের নাম পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তা খারিজ করে দিয়েছে।