কলকাতা: শুধুই সৌরভ চৌধুরী (Saurav Chowdhury) নয় বুধবার রাতে স্বপ্নদীপ কুণ্ডুকে (Swapnadip Kundu) উত্যক্ত করার সময় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) মেন হস্টেলের (Hostel) করিডরে আরও আট-নয় জন ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। এমনটাই শনিবার জানতে পারা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। ইতিমধ্যেই ১০ জনকে পুলিশ নোটিস দিয়েছে। ঘটনার দিন বা তার আগে ক্যাম্পাসে কোনও ঝামেলা হয়েছিল কি না, তা জানতে স্বপ্নদীপের সহপাঠীদেরও পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, স্বপ্নদীপের যে ফোনটি বুধবার রাতে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল সেটি উদ্ধার করা গিয়েছে। তবে সৌরভের ফোন থেকে স্বপ্নদীপের কোনও ভিডিও মেলেনি বলেই পুলিশের দাবি। হস্টেলের একাধিক গ্রুপের মধ্যে জনপ্রিয়তা ছিল সৌরভের। জিজ্ঞাসাবাদে অনেকেই এই কথা জানান। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দিনভর ১৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তারক্ষী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ২০ জন প্রাক্তন ছাত্র হস্টেলে থাকতেন। বিশ্ববিদ্যালয় নোটিস করার পর তাঁরা হস্টেল ছেড়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: যাদবপুর কাণ্ডে দফায় দফায় জেরা চলছে সৌরভের
এদিকে যাদবপুরে প্রথম বর্ষের ছাত্রর মৃত্যুতে ধৃত প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ আদালতের। শুক্রবার এই ঘটনায় সৌরভকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় যাদবপুর থানার পুলিশ। মামলার শুনানি শেষে বিচারক সৌরভকে ২২ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেয়। এদিন পুলিশ আদালতে জানায়, গত ৬ অগাস্ট সৌরভ ও মনোজিতের সহযোগিতায় হস্টেলে জায়গা পায় স্বপ্নদীপ। ঘটনার দিন দুটি অন্য নম্বর থেকে দফায় দফায় বাড়িতে ফোন করেন তিনি। কিন্তু ওই ফোন নম্বর সৌরভের নয় বলে দাবি করেছে পুলিশ। প্রশ্ন উঠছে, তবে ওই ফোন নম্বর কার? পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত তিনজন পড়ুয়ার বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। কতজন এই ঘটনায় জড়িত এবং কী উদ্দেশে এই ঘটনা ঘটল, গোটা বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর জন্য সৌরভকে জেরার প্রয়োজন আছে বলেও আদালতে জানায় পুলিশ।