কলকাতা: নতুন ধান (Paddy) উঠছে। নবান্ন উৎসবের সময়। আতপ চালের (Atap Rice) এখন পোয়াবারোর মরশুম। সেই সময় আতপ চাল নিয়ে সমস্যায় রাইস মিল মালিক ও চাষীরা। রফতানি বন্ধ। যার ফলে আতপ চাল চাষ নিয়েই উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এবছর কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government) চাল বিক্রিতে ২০ শতাংশ রফতানি শুল্ক বৃদ্ধি করায় বিক্রি হচ্ছে না আতপ চাল। শুধু গোবিন্দভোগ নয়, সীতা, স্বর্ণ, লঘু সব ধানের ক্ষেত্রেই একই অবস্থা। পূর্ব ভারতের শস্য ভাণ্ডার বা ধানের গোলা পূর্ব বর্ধমান জেলায় দৈনিক সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন চাল বাইরে রফতানি করা হত। এখন কার্যত রফতানি একেবারে বন্ধ।
পূর্ব বর্ধমান জেলা রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের (Rice mill Association) সম্পাদক আব্দুল মালেক শুক্রবার বলেন, বর্ধমানে ১০০টির বেশি রাইস মিল আছে। তাতে ৩০টি গোবিন্দ ভোগ চালের মিল আছে। প্রতি মাসে ১ লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল রপ্তানি হত। গত ৮ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় সরকার রপ্তানি শুল্ক চাপিয়ে দেয়।
এর ফলে চিন্তায় চাষীরা। কারণ, ধান বিক্রি না হলে তা উৎপাদন করে লাভ হবে না। ফলে চাষ হবে না। যাতে আতপ চালের ইন্ডাস্ট্রি বন্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই বিষয়ে রাইসমিল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Awas Yojana: বাড়ি প্রাপক ন্যায্য কি না দেখতে গিয়ে হেনস্তার শিকার মহিলা আধিকারিক
পূর্ব বর্ধমান জেলায় ২০ লক্ষ মেট্রিক টন ধান উৎপন্ন হয়। সেখান থেকে সরকার কেনে ৭ লক্ষ মেট্রিক টন। বাকিটা খোলা বাজারে বিক্রি হয়। বাইরে রফতানি করলে যে দাম মেলে খোলা বাজারে সেই দাম হয় না।