কলকাতা: মেডিক্যাল কলেজ কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠক করল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁরা কাউন্সিলের প্রত্যেক সিনিয়র চিকিৎসককে পড়ুয়াদের আন্দোলনের বিষয়ে জানিয়েছেন। কাউন্সিল বৈঠকে সকলেই ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পক্ষে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস। কিন্তু যেহেতু এখনও পর্যন্ত স্বাস্থ্য দফতর ও অর্থ দফতরের কাছ থেকে সবুজ সংকেত মেলেনি তাই পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনে নির্বাচন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস। অন্যদিকে, আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা জানান, যেহেতু বৈঠকে তাঁদের কোনও প্রতিনিধি ছিল না তাই তাঁরা ওই বৈঠকের গৃহীত সিদ্ধান্ত মানেন না। নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি জানিয়েছে তাঁরা।
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে সমাধান সূত্র এখনও অধরা। শুক্রবার মেডিক্যাল কলেজ কাউন্সিলের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, এখন থেকে হাসপাতালের প্রত্যেক সিনিয়র চিকিৎসক প্রতিদিন নিয়ম করে আন্দোলনকারীদের বোঝাবেন। সেইসঙ্গে সেন্ট্রাল ল্যাব কেনও বন্ধ ছিল, তার জন্য একটি সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁরা ৭২ ঘণ্টা অর্থাৎ আগামী সোমবারের মধ্যে রিপোর্ট দেবে বলে জনা গিয়েছে।
আরও পড়ুন:Rice Mill: শুল্ক চেপেছে, চাল বিক্রি বন্ধ, উদ্বেগ বর্ধমানের আতপচাল চাষ ঘিরে
একইসঙ্গে পড়ুয়াদের মারধরের ঘটনায় আগেই পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়েছে। মারধরের যে অভিযোগ পড়ুয়ারা করছেন তার জন্য সিসিটিভি ফুটেজ চাওয়া হয়েছে। তবে যতক্ষণ না পর্যন্ত স্বাস্থ্য ভবন থেকে সবুজ সংকেত মিলছে ততক্ষণ আগের নির্ধারিত দিনে অর্থাৎ ২১ ও ২২ ডিসেম্বর নির্বাচন করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এদিকে, প্রশাসনিক ভবনের যে অংশে অনশনে বসেছেন পড়ুয়ারা, সেখানকার সিসিটিভি বন্ধ করতে আবেদন জানান ছাত্র-ছাত্রীরা। তবে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তা বন্ধ করা যাবে না বলে স্পষ্ট জানায় কর্তৃপক্ষ। এরপর পড়ুয়ারাই সেই সিসিটিভি কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেন। পাঁচ অনশনকারীর শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছে বলে দাবি আন্দোলনকারীদের। অন্যদিকে হাসপাতালের কর্তারা জানিয়েছেন, অনশনকারী পড়ুয়াদের শারীরিক অবস্থার উপর প্রতি মুহূর্তে নজর রাখা হচ্ছে।