কয়লা পাচার কাণ্ডে বুধবার সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের শেষ হওয়ার পরে এবার দিল্লিতে ইডি-র জেরার মুখোমুখি হওয়ার জন্য নোটিশ পাঠান হল মলয় ঘটককে। আগামী ১৪ সেপ্টেন্বর দিল্লিতে ইডি- র দফতরে জেরার জন্য তাঁকে হাজির হতে বলা হয়েছে। বুধবার জিজ্ঞাসাবাদের সময় কয়লা পাচার কাণ্ডের ব্যাপারে নানা ভাবে মন্ত্রী মলয় ঘটকের কাছে জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা। সকাল থেকে মন্ত্রীর কলকাতা ও আসানসোলের বাড়িতে এই তল্লাশি চলে। মন্ত্রীর আসানসোলের বাড়ির সদর দরজা বন্ধ ছিল সকাল থেকেই। মন্ত্রীর নিরাপত্তা রক্ষীরা জানিয়েছিলেন, সকাল সোয়া আটটা নাগাদ কয়েকজন আসেন। তাঁরা জানান সিবিআই থেকে এসেছেন, বাড়ি তল্লাশি হবে। সূত্রের খবর, একইসঙ্গে কলকাতার আরও তিন জায়গায় সিবিআইয়ের তল্লাশি শুরু হয়।
বুধবার আসানসোলে মলয় ঘটকের তিনটি বাড়িতে হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। আপাতত তিনি আসানসোলে এলে থাকেন আপকার গার্ডেনের বাড়িতে। অন্যটি একটি ফ্ল্যাট। এছাড়াও আসানসোলের চেরিডাঙা অঞ্চলে তাঁর আদি বাড়িতেও একসঙ্গে হানা দেয় সিবিআইয়ের টিম। সঙ্গে বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী। এদিন সিবিআইয়ের তল্লাশির সময় মলয় ঘটকের বাড়ির সামনে শুরু হয় মন্ত্রীর অনুগামীদের বিক্ষোভ। বুধবার সকাল থেকে সাত ঘন্টা ধরে মলয় ঘটকের পৈতৃক বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই এর আধিকারিকরা। আর এই তল্লাশি চলাকালীন ভিড় বাড়তে থাকে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের। তখন বাড়ির ভেতরে মলয় ঘটকের ভাই তথা করপোরেশনের ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটককে জিজ্ঞাসবাদ করে সিবিআই আধিকারিকরা। সেই সময় বাইরে ধৈর্য হারিয়ে মহিলারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। ঠিক তখন অভিজিৎ ঘটক বাড়ির ভেতর থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে উৎসাহ মানুষের সঙ্গে কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হাত দেখিয়ে শান্ত হতে বলে ফের বাড়ির ভিতরে চলে যান।
একইসঙ্গে কলকাতায় লেক গার্ডেন্সে আর রাজভবনে মন্ত্রীদের আবাসনেও তল্লাশি চালায় সিবিআই। মলয় ঘটককে সিবিআই আধিকারিকরা মূলত কয়লা পাচার কাণ্ডে তার যোগসাজশের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চান বলে সূত্রের খবর । লালা কিংবা অনুপ মাঝির সঙ্গে তার কোনও যোগসূত্র আছে কিনা সেটাও জানতে চাওয়া হয়। তার আইটি ফাইল এবং সম্পত্তির নথি নিয়ে ১৪ ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তাঁর যে সমস্ত সম্পত্তির খোঁজ মিলছে, সেইগুলি কার নামে রয়েছে তাও বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয় জিজ্ঞাসাবাদের সময় । তাছাড়া আর যে সমস্ত সম্পত্তি রয়েছে সেগুলির কিভাবে হল তাও জানতে চাওয়া হয় জিজ্যসাবাদের সময়। মন্ত্রীর এলআইসি পলিসি সংক্রান্ত তথ্য একইসঙ্গে চেয়ে পাঠানো হয়েছে সিবিআই আধিকারিকদের তরফ থেকে। যদিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের দাবি, এই সমস্ত প্রশ্নের বেশিরভাগ উত্তরই এড়িয়ে গেছেন মন্ত্রী মলয় ঘটক।