কলকাতা: সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আগামী বৃহস্পতিবার কলকাতা ফিরবেন তিনি। ১৭ থেকে ২০ অক্টোবরের এই সফরে তৃণমূল নেত্রী আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং শিলিগুড়ি যাবেন। ওই তিন জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর জন্য থাকছে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত। বাড়তি নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন রাখা হচ্ছে সাদা পোশাকের পুলিশ। রবিবার এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রীর সফরসূচি তিন জেলার কমিশনারেটে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার নবান্ন থেকে দমদম বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister), তারপর তিনি বিমান ধরবেন আলিপুরদুয়ার যাওয়ার উদ্দেশ্যে। এরপর হেলিকপ্টারে (Helicopter) করে পৌঁছাবেন জলপাইগুড়ি। সেখানে এক রিসোর্টে মুখ্যমন্ত্রীর থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। কথা মতো সোমবারই মালবাজারে গিয়ে হড়পা বানে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।
১৮ অক্টোবর মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী রওনা দেবেন শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে। রয়েছে একাধিক কর্মসূচি। এরপর তিনি ফিরে আসবেন কন্যাশ্রী গেস্ট হাউসে। ১৯ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী অতিথি নিবাস থেকে নিউ জলপাইগুড়ির কাওয়াখালি মাঠে যোগ দেবেন বিজয়া সম্মিলনীতে (Bijaya Sammilani)। পরদিন ২০ অক্টোবর শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে কলকাতা ফেরার বিমান ধরবেন। সেখান থেকে সোজা পৌঁছবেন নবান্নে। মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর ঘিরে ব্যাপক তৎপরতা রয়েছে। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শনিবারই। মুখ্য সচিবের নির্দেশ রয়েছে রাস্তাঘাট মেরামত করে রাখার জন্য।
আরও পড়ুন: TMC: সবাই রাজা হতে চাইছে, দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন চিরঞ্জিৎ!
উল্লেখ্য, গত ৫ অক্টোবর দশমীর দিন প্রতিমা বিসর্জনের সময় আচমকা হড়পা বান চলে আসে। মাল নদীতে হড়পা বানে ভেসে যান শতাধিক মানুষ। পাহাড়ি নদীর জলের স্রোতে ভেসে যাওয়া বেশিরভাগকেই উদ্ধার করা সম্ভব হলেও ৮ জনের মৃত্যু হয়। স্থানীয় লোকজন প্রশাসনিক গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন এজন্য। তাঁদের বক্তব্য ছিল, পাহাড়ে অতিবৃষ্টি চলছিল। তা জানা সত্ত্বেও কেন প্রশাসন সেখানে বিসর্জনের অনুমতি দিয়েছিল। শাসকদলের মদতে মাল নদীর গতিপথ পরিবর্তনের অভিযোগও তুলেছিলেন তাঁরা। বিরোধীদের দাবি সেইসব ক্ষোভ প্রশমন করতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।