কলকাতা: উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড় যখন পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপাল ছিলেন সেই সময় রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের পদে পদে বিরোধ তৈরি হয়েছিল। তার মধ্যে একটি ছিল উপাচার্য নিয়োগ পদ্বতি। যা নিয়ে সরকার ও রাজভবনের মধ্যে চরম সংঘাতের সৃষ্টি করেছিল। নতুন রাজ্যপাল হিসেবে সি ভি আনন্দ বোস দায়িত্ব নিয়ে রাজ্যে আসার পর নবান্নের সঙ্গে সম্পর্কটা ঠিক চললেও, কখনও কখনও দুপক্ষের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হতে দেখা গিয়েছে।
ফের সেই দূরত্বের জল্পনা বাড়িয়ে দিয়ে নয়া নির্দেশ জারি করলেন রাজ্যপাল। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যকে সরাসরি রাজভবনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। এছাড়াও কোনও অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজভবনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে এবং সেই সিদ্ধান্ত সম্পর্কিত তথ্য দিতে হবে রাজভবনকে।
আরও পড়ুন: Hanuman Jayanti | হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত ৩ দাঁতনে
পাশাপাশি প্রত্যেক উপাচার্যকে একটি ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। সেই ফোন নম্বরের মাধ্যমে সরাসরি তাঁরা রাজভবন এবং রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। চিঠিতে জানানো হয়েছে, প্রতিমাসে উপাচার্যদের রাজভবনে গিয়ে আচার্যের অর্থাৎ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে হবে। এছাড়াও তাঁদের জমা দিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত সব তথ্য। পাশাপাশি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা করতে পারবেন উপাচার্যরা।
প্রাক্তন রাজ্যপাল ধনখড়কে সরকারি বেসরকারি সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে সরানোর জন্য রাজ্য সরকার বিধানসভায় বেশ কয়েকটি বিল এনেছিল। রাজ্য সরকারের অভিযোগ ছিল, শিক্ষার ক্ষেত্রে ধনখড় অযাচিত হস্তক্ষেপ করছিলেন। তার জন্যই তাঁকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আচার্য করার লক্ষ্যেই বিলগুলি আনা হয়েছিল।