নয়াদিল্লি: জেল মন্ত্রী নিয়োগ করেন জেল সুপারদের। তাঁর নির্দেশে রাজ্যে জেল পরিচালনা চালু হয়। সেই কারাগার মন্ত্রী জেলে আছেন। ফলে কী হতে পারে? সিনেমার দৃশ্যের মতো জেল সুপার কাঁচুমাচু মুখ নিয়ে মন্ত্রীর কাছে সেলে গিয়ে দেখা করছেন। মন্ত্রীকে আরামে যত্নে রাখার জন্য প্রাণাতিপাত করছেন। ঠিক এমনটাই ঘটেছে বাস্তবে। আর্থিক বিষয়ক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির এই ধরনের একটি দাবি ঘিরে এই রাজার হালের জেল জীবন সামনে এসেছে।
ইডির অভিযোগ, দিল্লির আপ সরকারের মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন (satyendra jain) জেলে বিলাসবহুল জীবন যাপন করছেন। তাঁকে জেলে নিয়মিত মাসাজও করে দেওয়া হচ্ছে। সেলের ভিতরে গিয়ে বাড়ির মতো মন্ত্রীর স্ত্রী তাঁর সঙ্গে দেখা করছেন। বাড়ি থেকে আনা ভালো খাবার খাচ্ছেন তিনি। শুধু তাই নয়, যে ঘটনায় তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন তাতে অন্য অভিযুক্তদেরও সঙ্গে নিয়মিত কথা বলছেন মন্ত্রী। যার ফলে প্রভাবিত হতে পারে তদন্ত প্রক্রিয়া। এই বিষয়ে আদালতে তারা একটি সিসিটিভি ফুটেজ জমা দিয়েছে।
আরও পড়ুন Gujrat Bridge Collapased: গুজরাটে প্রধানমন্ত্রীর সফর চলাকালীন ভেঙে পড়ল ব্রিজ
উল্লেখ্য, গত মে মাসে একটি আর্থিক তছরুপের মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) তাঁকে গ্রেপ্তার কর। যা নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলকে নিশানা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। রবিবার ইডি আদালতে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে, মাথা, পা, পিঠ মাসাজ নিচ্ছেন তিনি। জেলমন্ত্রী হওয়ায় তিনি বেনিয়ম করে সুবিধা নিচ্ছেন তিনি। তাঁকে আদালতের অর্ডারের বাইরে গিয়ে বাড়ির খাবার দেওয়া হচ্ছে। অঁন্য দুই অভিযুক্ত অঙ্কুশ জৈন ও বৈভব জৈনের সঙ্গে দেখা করেন তিনি নিয়মিত।
যদিও জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, মন্ত্রীর সঙ্গে বাইরের কাউকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। প্রতিদিন সকালে মাথা গণনার সময় এক জায়গায় জড়ো হন সবাই। সেসময় একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। গণনার পর প্রত্যেকেই নিজের সেলে চলে যান। সত্যেন্দ্র জৈনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে সিবিআইয়ের (CBI) একটি এফআইআরের ভিত্তিতে ইডি আর্থিক তছরুপের (MONEY LAUNDERING) তদন্ত করছে।