ভুবনেশ্বর: এখনও আতঙ্ক মুছে যায়নি। বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও টাটকা। তারই মধ্যে এবার ট্রেনে আগুন। বালেশ্বরে একটি মালগাড়িরা কামরায় (Goods train) আগুন লাগল। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার বালেশ্বরের (Balasore District) রূপসা রেল স্টেশনে (Rupsa railway station)।দমকলের ইঞ্জিন (Fire brigade) এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি।
বিভীষিকার রেশ নিয়েই গড়িয়েছে করমণ্ডলের চাকা (Coromandel Express)। বাহানাগা (Bahanaga)স্টেশনে ট্রেন ঢুকতেই যাত্রীদের চোখে-মুখে আতঙ্ক দেখা গিয়েছিল। গত সপ্তাহের শুক্রবারে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার পর চাকা গড়িয়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের। তবে এদিন ট্রেনের (Train) গতিবেগ ছিল অনেকটাই কম। দুর্ঘটনার দিন বাহানাগা স্টেশন দিয়ে পার হওয়ার সময় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের গতি ছিল ঘণ্টায় ১২৮ কিলোমিটার। যা সজোরে গিয়ে ধাক্কা মেরেছিল লুপ লাইনে থাকা আকরিক লোগা বহনকারী একটি মালগাড়িতে (Goods Train)। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনটি উঠে গিয়েছিল মালগাড়ির মাথায়। অভিশপ্ত সেই শুক্রবারের রেশ যেন এখনও সকলের মনে টাটকা। কারণ ওই দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে প্রায় ৩০০ জনের জীবন। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। এখনও স্বজনের খোঁজে ছবি নিয়ে ঘুরছে নিখোঁজদের পরিজনেরা।
আরও পড়ুন: Cyclone Biparjoy | ক্রমশ তীব্র হয়ে বিপর্যয়ের আশঙ্কা সাইক্লোনের, তিন রাজ্যে সতর্কতা জারি
এদিকে যেখানে চেয়ার টেবিল থাকার কথা, কচিকাঁচারা মুখরিত হওয়ার কথা তাদের পড়াশোনায়। ট্রেন দুর্ঘটনার পর সেই বাহানগা হাইস্কুল পরিণত হয়েছিল একটি বড় মর্গে। সেই দৃশ্য এখনও স্মৃতি থেকে হারিয়ে যায়নি। কচি কাঁচারাও দেখেছে তাদের পড়ার ঘর, মিড ডে মিলের খাওয়ার জায়গায় কীভাবে লাশের পাহাড় তৈরি হয়েছিল। এ যেন দুঃস্বপ্নের মতো। তাদের কাছে পড়া খেলার জায়গা মৃতদেহের স্তুপ দখল করে নিয়েছিল। অনেকের স্কুলে আসতে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। আগামী ১৯ তারিখ স্কুল খুলবে। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যে জায়গা গুলিতে মরদেহ রাখা ছিল তা ভেঙে ফেলে নতুন করে তৈরি করা হবে। তার কাজ শুরু হয়েছে।