মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের একটি ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টে সব ধরনের ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করে দিল হরিয়ানা সরকার। এই সংস্থার কাশির সিরাপ খেয়ে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ায় মৃত্যু হয়েছিল ৬৬টি শিশুর। এই ঘটনায় সংস্থাটির ওষুধপত্রের গুণমান যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের সদর দপ্তর হরিয়ানাতেই। সরকারের তরফে তাদের একটি উৎপাদন কেন্দ্রে হানা দিলে ঔষধি তৈরির ক্ষেত্রে ১২টি ত্রুটি নজরে আসে। এরপরেই সব ধরনের ওষুধ উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ জানিয়েছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উল্লেখ করা তিনটি ড্রাগ কলকাতায় সেন্ট্রাল ড্রাগ ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। তার রিপোর্ট এখনও আসেনি, এলেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মন্ত্রী এও বলেন, কেন্দ্র এবং হরিয়ানার ড্রাগ ডিপার্টমেন্টরা উৎপাদনে ১২টি ত্রুটি খুঁজে পেয়েছে। সেকথা মাথায় রেখে সামগ্রিক উৎপাদনই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পেরল লক্ষ্মীপুজো, প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও কাউন্সিলিং হল না শারীরশিক্ষা-কর্মশিক্ষা প্রার্থীদের
সংস্থাটিকে পাঠানো শো কজ নোটিসে বলা হয়েছে, উৎপাদনের যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জামের কোনও লগ বুক দেখাতে পারেনি তারা। কাশির সিরাপের যেগুলিতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক পাওয়া গিয়েছে তার ব্যাচ নম্বর অবশ্য উল্লেখ করা হয়নি। জানা গেছে, ক্ষতিকারক রাসায়নিকের মধ্যে রয়েছে প্রোপাইলিন গ্লাইকল, সরবিটল সলিউশন এবং সোডিয়াম মিথাইল পারাবেন। সিরাপ তৈরির প্রক্রিয়া এবং পদ্ধতি নিয়েও সম্যক জবাব দিতে ব্যর্থ হয়েছে মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালস।
জানা গেছে, প্রোপাইলিন গ্লাইকলের একটি ব্যাচ যাকে ‘স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি’ হিসেবে পাশমার্ক দিয়েছিল সংস্থাটি তা ড্রাগ ডিপার্টমেন্টের পরীক্ষায় বিভিন্ন দিক থেকে ব্যর্থ হয়েছে। অসঙ্গতি রয়েছে ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের তারিখ এবং অনুমোদনের ক্ষেত্রেও। হরিয়ানা স্টেট ড্রাগ কন্ট্রোলারের তরফে সাতদিনের মধ্যে শো কজের জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে। তাতে সাড়া না দিলে মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের ম্যানুফ্যাচারিং লাইসেন্স বরখাস্ত কিংবা বাতিল হতে পারে। নেওয়া হতে পারে আইনি ব্যবস্থাও।